হালুয়াঘাটে ২ বীরাঙ্গনার বাড়িতে আনন্দের জোয়ার


প্রকাশিত: ১২:১৫ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০১৫

দীর্ঘ ৪৪ বছর পর বীরাঙ্গনা তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় হালুয়াঘাটের জাহেরা খাতুন ও ফাতেমা খাতুনের নাম উঠায় তাদের বাড়িতে বইছে আনন্দের জোয়ার। তাদের মুখ থেকে বার বার একটি কথাই উচ্চারিত হয়ে আসছিল এতদিন আশায় বুক বেঁধে অপেক্ষা করেছি কবে পাবাে সরকারি সাহায্য সহযোগিতা।

উপজেলার খন্দকপাড়া গ্রামের আবেদ আলীর স্ত্রী জাহেরা খাতুন জানান, যুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন নববধূ। প্রতিদিনের মতো নিজ বাড়ির উঠানে কাজ করছিলেন। ঠিক দুপুর বেলায় কয়েকজন পাক বাহনী হঠাৎ তাদের বাড়িতে এসে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। জোরপূর্বক তাকে ঘরে নিয়ে চালায় পৈশাচিক নির্যাতন। নির্যাতনের এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। দীর্ঘদিন লাজ ভয়ে একথা কাউকে না বলে নিরবে নিভৃতে চোখের পানি ফেলে চলেছেন। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতায় তার যাবতীয় তথ্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর যাচাই বাছাই করে তার নাম গেজেটভুক্ত হয়।

বালিচান্দা গ্রামের মৃত হারুন রশীদের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন তার উপর নির্যাতনের কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পার্শ্ববর্তী উপজেলা ধোবাউড়ায় স্বামীর বাড়িতে নির্যাতনের শিকার হন তিনি। তিনি বলেন, নির্যাতন পরবর্তীতে পাড়ার লোকজন আমাকে তালাক দিতে আমার স্বামীকে পরামর্শ দিলেও আমার স্বামী আমাকে নিয়েই সংসার করেন। বর্তমানে তার তিনটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটে তার। তার নাম বীরাঙ্গনা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় খুব আনন্দিত তিনি। সরকারি সহযোগিতা পেলে দুমুঠো মোটা ভাত খেয়ে সব কিছু ভুলে থাকতে চান তিনি।

এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।