ফেঁসে যাচ্ছেন সিটি ব্যাংকের এমডি!


প্রকাশিত: ১২:০৭ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০১৫

আইন ভেঙে পর্ষদ চেয়ারম্যানকে আরেক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মনোনীত করে প্রস্তাব করায় ফেঁসে যাচ্ছেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হুসেইন। আইন লঙ্ঘনের দায়ে তাকে জরিমানা করতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সূত্র বলছে, ব্যাংক কোম্পানি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গগুলি দেখিয়েছেন সিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান রুবেল আজিজ। তিনি পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক সাংসদ এম এ হাশেমের ছেলে। তবে কোনো পারিচয় তার শাস্তি  ঠেকাতে  পারছে না বলে জানা গেছে।   

সূত্র জানায়, ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুসারে একই ব্যক্তি এক সঙ্গে একাধিক ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান বা পরিচালক হতে পারবেন না। কিন্তু রুবেল আজিজ একই সঙ্গে সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তিনি আইডিএলসি ফাইন্যান্সেরও পরিচালক হিসেবে রয়েছেন। অতি সম্প্রতি তিনি আইডিএলসি ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাগো নিউজে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই দিন বিকেলেই রুবেল আজিজকে কারণ দর্শাতে নোটিশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নোটিশের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা পাঠিয়েছেন রুবেল আজিজ।  ব্যাখ্যায়  রুবেল আজিজ লিখেছেন, তিনি নিজে ইচ্ছাকৃতভাবে আইডিএলসি ফাইনান্সের পরিচালক হননি। তাকে সিটি ব্যাংক মনোনীত করেছে। সিটি ব্যাংকের যেহেতু আইডিএলসি ফাইনান্সে শেয়ার আছে তাই ব্যাংক এটি করেছে। এর দায় দায়িত্ব তার নয়। ব্যাংকের পুরো বোর্ড, কোম্পানি সচিব ও প্রধান নির্বাহীর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, রুবেল আজিজের দেয়া ব্যাখ্যা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এরপরই বিষয়টির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে আইন লঙ্ঘন করায় ব্যাংকের এমডিকে জরিমানা করা হবে। প্রয়োজনে তাকে বরখাস্ত করার ক্ষমতাও আছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।  

সাধারণত কোন ব্যাংকের এমডিকে জরিমানা করা হলে তার ব্যাপারে ব্যাংকিং খাতে একটি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। তাকে অন্য ব্যাংক পর্ষদ নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হন না। শুধু তাই নয়, যেসব এমডির বিরুদ্ধে অনিয়ম পরিপালন করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাদের অন্য ব্যাংক নিয়োগ দিতে চাইলে সেই প্রস্তাব বাতিল করে দিতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জানা গেছে, এর আগে এম এ হাশেম এবং তার পরিবারের সাত সদস্য বেসরকারি সিটি ব্যাংক ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক থেকে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন।

এরপর ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করা হয় ২০১৩ সালে। সেখানে বলা হয়, একই পরিবারের দু’জন এক সঙ্গে একই ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। ফলে এম এ হাশেম পরিবারের ছয় সদস্য কে সরে দাঁড়াতে হয়।

বিষয়টি সম্পর্কে কয়েক দফা জানতে সিটি ব্যাংকের এমডি সোহেল আর কে হুসেইনকে ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। তার দফতরে কয়েক দফা ফোন করলে তিনি মিটিং নিয়ে ব্যস্ত বলে জানানো হয়।

এসএ/এসএইচএস/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।