করোনায় আক্রান্ত হননি কোনো রোহিঙ্গা : ইউএনএইচসিআর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৬ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০২০

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কেউ এখনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। বিষয়টি জানিয়েছেন জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। মঙ্গলবার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয়।

তবে স্থানীয় ও শরণার্থীদের ঘনবসতির জন্য ক্যাম্প এলাকা সংক্রমণের জন্য বৈশ্বিকভাবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এজন্য ১৯০০ শয্যার আইসোলেশন ও চিকিৎসাসেবার কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে বলে জানানো হয়।

এছাড়া বর্ষা মৌসুমের প্রস্তুতি বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। ফলে আসন্ন বর্ষায় সময়মতো প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা সম্পন্ন করতে না পারলে সেখানে থাকা জনজীবন হুমকির মধ্যে পড়বে বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

ইউএনএইচসিআর জানায়, পুরো বিশ্ব কোভিড-১৯ মোকাবিলা করছে। এ অবস্থায় আসন্ন বর্ষা মৌসুম ঝুঁকির পরিমাণ আরও বাড়িয়ে শরণার্থীদের কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এ মৌসুমের প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থাপনা সময়মতো সম্পন্ন করতে না পারলে তা জনজীবন হুমকির মধ্যে ফেলবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

সংস্থাটি আরও জানায়, বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে কেউ এখনও কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হননি। যদিও স্থানীয় ও শরণার্থীরা খুবই ঘনবসতিপূর্ণভাবে অবস্থান করছেন। এ কারণে বৈশ্বিকভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে এটি চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বর্ষা মৌসুমে ভূমিধস ও বন্যার শঙ্কা করা হচ্ছে।

refugee-colony-003.jpg

২০১৯ সালের বর্ষা মৌসুমে কক্সবাজারের ক্যাম্পে প্রায় চার হাজার পরিবার সাময়িকভাবে বাস্তুচ্যুত হন। সেই সঙ্গে ১৬ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন। আগাম ব্যবস্থা নেয়ায় ২০১৮ সালের তুলনায় ক্ষতির পরিমাণ কম হয়।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, শরণার্থীদের জীবন রক্ষার কৌশলগুলো শেখানো হচ্ছে। তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রথম সাড়া দানে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া বর্ষা মৌসুমের প্রস্তুতি বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। বিশেষ কয়ে দুর্যোগের ঝুঁকি কমানো বা ডিআরআর স্থগিত হওয়ায় প্রস্তুতির ওপর প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে ড্রেন ব্যবস্থাপণার উন্নয়ন এবং ঢাল স্থীতিশীল করা। সেই সঙ্গে ভূমিধস ও বন্যার ঝুঁকিতে থাকা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন কাজও দেরি হচ্ছে। এছাড়া লকডাউন থাকায় প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপকরণ সরবরাহও কঠিন হয়ে পড়েছে।

ঝুঁকি বিবেচনায় ক্যাম্পে কার্যক্রম কমিয়ে আনা সত্ত্বেও শরণার্থীদের ঝড়ের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ উপকরণের বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া আগে থেকে দুর্যোগ পরবর্তী জরুরি ত্রাণও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জেপি/এমএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।