বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি আটকের গুঞ্জন, নিশ্চিত নন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৩৫ এএম, ২০ এপ্রিল ২০২০
ছবি- সংগৃহীত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরেক ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি রিসালদার (বরখাস্ত) মোসলেহ উদ্দিন ভারতে আটক হয়েছেন বলে গুঞ্জন শোনা গেলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তিনি এখনও নিশ্চিত নন।

সোমবার (২০ এপ্রিল) সকালে জাগো নিউজকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সোমবার ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা ‘মুজিবের আর এক খুনিও কি এই বঙ্গে?’ শিরোনামে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘আব্দুল মাজেদের মতো পরিচয় ভাঁড়িয়ে শেখ মুজিবের আর এক খুনিও দীর্ঘদিন পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিয়ে রয়েছে বলে দাবি বাংলাদেশের গোয়েন্দা সূত্রের। মাজেদকে জেরা করে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা তার বিষয়ে জানতে পেরেছেন বলে ওই সূত্রের দাবি। ভারতের গোয়েন্দাদের সহযোগিতায় রিসেলদার (বরখাস্ত) মোসলেউদ্দিন নামে এই প্রাক্তন সেনা অফিসারকে উত্তর চব্বিশ পরগনায় তার ডেরা থেকে আটক করা গিয়েছে বলেও সূত্রের দাবি। আবার অন্য একটি সূত্রের খবর, মাজেদ আটক হওয়া মাত্রই নিজের মৃত্যু-সংবাদ ছড়িয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে মোসলেউদ্দিন।’

মোসলেহ উদ্দিনের ভারতে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে কোনো স্পষ্ট ডিক্লারেশন পেয়েছেন? আমি তো শতভাগ কনফার্ম না হয়ে কিছু বলি না। আমার কাছে পুরোপুরি নিশ্চিত কোনো খবর নেই।’

এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময় মোসলেহ উদ্দিন অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। বলা হয়ে থাকে তিনিই বঙ্গবন্ধুর ওপর গুলি চালিয়েছিলেন। তার অবস্থানের বিষয়ে সরকারের কাছে নিশ্চিত কোনো তথ্য না থাকলেও মনে করা হতো তিনি থাইল্যান্ডে পালিয়ে আছেন।

এর আগে গত ৬ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টার দিকে মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকা থেকে বঙ্গবন্ধু খুনের ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে ১১ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

আরএমএম/এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।