৩৮ জেলা পুরোপুরি লকডাউন, আংশিক ১৭
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার গৃহীত ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বর্তমানে দেশের ৮টি বিভাগের ৩৮ জেলা পূর্ণাঙ্গ লকডাউনে আছে। ১৭টি জেলায় আংশিক লকডাউন চলছে।
এ তথ্য জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, লকডাউন ঘোষণা করা হলেও অনেকেই তা মানছে না। রোববার (১৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ে নিজ বাসা থেকে যুক্ত হন তিনি। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে ৩১২ জন আক্রান্ত এবং ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, লকডাউন নামালে (প্রত্যাহার) আক্রান্ত ও মৃত্যু রোধ করা যাবে না। আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশই রাজধানী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। এ দুটি অঞ্চল থেকে লকডাউন ভেঙে লোকজন দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ায় করোনাভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো বিভাগওয়ারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগের ১০টি জেলা গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, রাজবাড়ী, শরিয়তপুর, টাঙ্গাইল ও মুন্সিগঞ্জ, চট্টগ্রাম বিভাগে কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ময়মনসিংহ বিভাগে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, শেরপুর, রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী, নওগাঁ ও জয়পুরহাট, রংপুর বিভাগে রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল বিভাগে বরিশাল, বরগুনা, পিরোজপুর, এবং সিলেট বিভাগে সিলেট সুনামগঞ্জ হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে পূর্ণাঙ্গভাবে লকডাউনে আছে।
অপরদিকে আংশিকভাবে লকডাউনে আছে ঢাকা বিভাগে ঢাকা, ফরিদপুর ও মানিকগঞ্জ, চট্টগ্রাম বিভাগে চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও ফেনী, রাজশাহী বিভাগে বগুড়া, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ, রংপুর বিভাগে কুড়িগ্রাম, খুলনা বিভাগে খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও নড়াইল এবং বরিশাল বিভাগে ভোলা, পটুয়াখালী ও ঝালকাঠি।
আরও পড়ুন : করোনায় মৃত্যুর পরও লকডাউন হয়নি যেসব জেলা
এমইউ/জেডএ/এমএস