সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই মাছের বাজারে!

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:৩২ এএম, ১৯ এপ্রিল ২০২০

ভোর ৬টা। রাতের বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটের ছোট ছোট গর্তে পানি জমেছে। সকালের সূর্যকিরণ পানিতে পড়ে ঝিকমিক আলো জ্বলছে।

রাজধানীর নীলক্ষেতের অদূরে নিউমার্কেটের এক নম্বর গেটের সামনে প্রধান সড়ক জুড়ে মাছের বাজার। স্বাভাবিক সময়ে ব্যস্ততম এ সড়কে মাছের বাজারের কথা কল্পনাও করা যেত না। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে ঢাকা মহানগর পুলিশ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ফাঁকা রাজপথে মাছের বাজার বসানোর অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে মাছের বাজার রাজপথে বসানো হয়েছে সে উদ্দেশ্যে অর্থাৎ সামাজিক দূরত্ব মেনে বেচাকেনা হচ্ছে না।

Fish-Bazar

জাগো নিউজের এ প্রতিবেদক রোববার (১৯ এপ্রিল) ভোরে সরেজমিনে দেখেন, নিউমার্কেটের সামনে রাস্তার দুই পাশে মাছের বাজারে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই কেনাবেচা চলছে। কারও মুখে মাস্ক রয়েছে আবার কারও নেই। বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাকে করে নিয়ে আসা মাছ নামিয়ে ভ্যানগাড়িতে করে অদূরে আড়তাদের কাছে নেয়া হচ্ছে। পাইকারি ক্রেতারা উচ্চস্বরে মাছের দাম হাঁকছেন। ছয় সাতজন মানুষকে সামনে জটলা পাকিয়ে মাছের দাম ঠিক এবং মাপার পর ঝুড়িতে মাছ নিয়ে গন্তব্যে ছুটছেন। সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য সেখানে একটি পুলিশ ভ্যান থাকলেও ভ্যানে বসেই দুই তিনজন পুলিশ সদস্যকে ঝিমুতে দেখা যায়।

Fish-Bazar

মাছ বিক্রেতাদের কাছে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কথা বলা হলেও তারা কেন মানছেন না এমন প্রশ্নে সাদেক হোসেন নামের এক মাছ বিক্রেতা জানান, মাছের বাজারে সামাজিক দূরত্ব মেনে কেনাবেচা করা দুরূহ ব্যাপার। একসঙ্গে বাজারে অনেক মানুষ মাছ কিনতে হাজির হওয়ায় সিরিয়াল করে দাঁড়িয়ে মাছ কিনতে কেউ আগ্রহ দেখায় না। তবে আগের তুলনায় মাছের বাজারে ভিড় তুলনামূলভাবে কম বলে দাবি করেন তিনি।

Fish-Bazar

শামসু মিয়া নামের একজন আড়তদারকে পিপিই পরিহিত অবস্থায় মাছ মেপে বিক্রির পর টাকা সংগ্রহ করতে দেখা যায়। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, মাছের আড়ত/বাজারে যারা কাজ করে তাদেরকে সকাল বেলা ট্রাক থেকে মাছ নামানো, ভ্যানগাড়িতে করে নিয়ে আসা, মাছ মাপা ইত্যাদি কাজে দৌড়ঝাঁপ করতে হয়। ফলে চাইলেও তারা পিপিই পরে সে কাজ করতে পারবে না। তিনি তার প্রত্যেক কর্মচারীকে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে মাস্ক কিনে দিয়েছেনে বলে জানান।

এমইউ/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।