মধ্যম আয়ের মানুষদের জন্য পরিকল্পনা চাইলেন রাঙ্গা
করোনা পরিস্থিতিতে দেশের মধ্যম আয়ের মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পরিকল্পনা চাইলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা।
শনিবার জাতীয় সংসদের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, সারা পৃথিবীতে যখন করোনা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিলেন আমি মনে করি এটা একটা ভালো কাজ করেছেন। যদিও কষ্ট হয়েছে ওনার, আমরা মনে করি আমরাও কষ্ট পেয়েছি।
তিনি বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবে যে কর্মসূচি নেয়ার দরকার ছিল আমাদের কোয়ারেন্টাইন যে প্রচেষ্টা যেটা আমরা জানতাম না, লকডাউন আমরা জানতাম না। এখন আমরা এগুলো জানি। মানুষ এগুলো বিশ্বাস করে এবং মানুষ এগুলো পালন করে। কেন? উনারা জানেন যে এই বিষয়টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জানেন অ্যাকচুয়ালি কী হবে।
রাঙ্গা বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন যেটা বলেছেন দেশের মানুষ কিন্তু কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া কোথাও আমি দেখিনি। কোনো জায়গাতে আমি বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখি নাই যে আমরা বন্ধ থাকব, আমরা কী খাব? আমরা কোথায় যাব? কেন আমাদের করোনা হবে? আমাদের ডাক্তাররা কী করবে?
তিনি বলেন, আজ ডাক্তাররা না থাকলে উনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে দিয়েছেন। যদি কোনো ডাক্তার কোনো রোগীর যদি চিকিৎসা না করে তবে তাকেও কৈফিয়ত দিতে হবে। ভিজিএফ, ভিজিডি, বয়স্কভাতা বিভিন্ন ধরনের ভাতার যে কর্মসূচি আছে এই কর্মসূচিগুলো না থাকলে আজকে দেশের মানুষ না খেয়ে মারা যেত।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, আমি মনে করি সবগুলো উনি (প্রধানমন্ত্রী) সুচিন্তিত পরিকল্পনা নিয়েছেন। আল্লাহর রহমতে এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় দেশের অনেক মানুষ কিন্তু আজকে বেঁচে গেছে।
তিনি বলেন, আমি শুধু এইটুকু ওনাকে অনুরোধ করতে চাই যে গ্রামে-গঞ্জে আমরা দেখতে পাই যে মধ্যম আয়ের যে মানুষগুলো রয়েছে। যে মানুষগুলো একটা বাসের কন্ট্রাক্টর, একটা বাসের মালিক বা দুটি গাড়ি বা এ রকম যারা রিকশাচালক, সিএনজিচালক, যারা ঠেলাগাড়ি চালায় সবই কিন্তু বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে হতদরিদ্র যারা আছে এরা কিন্তু কিছুটা হলেও পাচ্ছে। মধ্যম আয়ের যারা বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে আছে তারাও কিন্তু ভাতা পাচ্ছেন। খুব একটা সমস্যার মধ্যে নেই।
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, মাঝখানে সমস্যার মধ্যে মধ্যম আয়ের কিছু রাজনৈতিক কর্মীও আমরা দেখি সব দলের সেটা বিএনপি বলেন, জাতীয় পার্টি বলেন, আওয়ামী লীগ বলেন। সবাই কিন্তু একটা হাহাকার অবস্থায় যে আমরা কী খাব? আমার এলাকা থেকে অনেক ছেলেপেলে আমার কাছে আসে যে আমরা কীভাবে চলব। সেটাই আমি জানি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সামনে যদি মধ্যম আয়ের মানুষগুলোকে বাঁচাতে যদি একটা পরিকল্পনা দিতেন। সেভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন গ্রামে-গঞ্জে, তাহলে আমি মনে করি বাংলাদেশের একটি মানুষও ইনশাআল্লাহ না খেয়ে মরবে না।
এইউএ/বিএ/এমকেএইচ