ওজনে কম, চালের পাইকারকে জরিমানা
৫০ কেজির চালের বস্তায় এক কেজি কম। এভাবে প্রতিদিন চালের ওজন কম দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন বিক্রেতা। এ অপরাধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কলাপট্টির মেসার্স আহম্মেদ রাইস নামের এক পাইকারি চাল আড়তকে জরিমানা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মোবাইল টিম। এছাড়া নিত্যপণ্য ওজনে কম দেয়ার অপরাধে টিসিবির ট্রাক সেলসহ তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) যাত্রাবাড়ীর ও মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল।
তিনি জাগো নিউজকে জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মোবাইল টিমের মাধ্যমে আজকে যাত্রাবাড়ীর কলাপট্টি চালের পাইকারি আড়ত, মতিঝিলের এজিবি কলোনিসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় মেসার্স আহম্মেদ রাইস এর বিক্রি করা ৫০ কেজির চাউলের বস্তা ওজন দেয়া হলে তা ৪৯ কেজি ১৭ গ্রাম হয়। অর্থাৎ ৫০ কেজিতে প্রায় এক কেজি চাল কম দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এ অপরাধে মেসার্স আহম্মেদ রাইসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি বস্তার ওজন অনুযায়ী যেন মূল্য নেয়া সেজন্য সতর্ক করা হয়।
এছাড়া ওজনে কম দেয়ার মেসার্স আল আমিন রাইসকে ২ হাজার টাকা এবং মতিঝিল এজিবি কলোনির সমনে টিসিবির ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির প্রতিষ্ঠান কুমিল্লা জেনারেল স্টোরকে (টিসিবির ট্রাক সেল) ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি চিনি, ছোলা, ডাল ইত্যাদি ট্রাক সেলে ওজনে কম দিচ্ছিল। এ সময় তাদের এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করা হয়।
অভিযান চলাকালে পণ্যের মূল্যতালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন করা, প্রদর্শনকৃত মূল্য অপেক্ষা অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় থেকে বিরত থাকা, করোনাকে কেন্দ্র করে অতি মুনাফা লোভ থেকে বিরত থাকা, সরকারি নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালন করা এবং জনগণের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।
অভিযানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি সহায়তা প্রদান করেন। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এ সরকারি কর্মকর্তা।
এসআই/এসআর/এমকেএইচ