গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এমপি লিটন


প্রকাশিত: ০৩:২৬ এএম, ১৫ অক্টোবর ২০১৫
ফাইল ছবি

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও শিশু সৌরভকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গ্রেফতারের পর গাইবান্ধায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে তাকে বহনকারী গাড়ি জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রবেশ করে।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এমপি লিটনকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়েই রাখা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাকে আদালতে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

এর আগে বুধবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে রাত সোয়া ১১টার দিকে গাইবান্ধা পুলিশের কাছে তুলে দেয়া হয় এমপি লিটনকে। এ সময় দু`টি মাইক্রোতে করে ডিবি কার্যালয় থেকে বের করে নেয়া হয় তাকে। পেছনের একটি গাড়িতে ছিলেন লিটনের স্ত্রী।

রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন) বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে গাইবান্ধা আদালতে হাজির করা হবে এমপি লিটনকে।

ডিএমপির (মিডিয়া) উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে এমপি লিটনকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। এর আগে রাত ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরা থেকে এমপি লিটনকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিএমপির ডিবি উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার শেখ নাজমুল আলম বলেন, আদালতের নির্দেশনার পর থেকেই এমপি লিটন নজরদারিতে ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর ভোরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্ধ ইউনিয়নের গোপালচরণ এলাকায় এমপি লিটনের ছোড়া গুলিতে দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় গোপালচরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন সৌরভ (৮)। শিশু সৌরভ বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনার পর দিন সৌরভের বাবা এমপি লিটনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

অমিত দাশ/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

আরও পড়ুন