অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তার-নার্সদের ডেকে এনে রিজার্ভে রাখার পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৫৪ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২০
ফাইল ছবি

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সদ্য অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও সেবিকাদের (নার্স) ডেকে এনে প্রশিক্ষণ দিয়ে রিজার্ভে রাখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল বা শয্যার সংখ্যার বিষয়গুলো বিশেষভাবে নজর দিয়ে... কয়েকটা হাসপাতাল তো বিশেষভাবে চিহ্নিত করাই আছে এবং কিছু শয্যা চিহ্নিত করা আছে। সেগুলোতেও আরও প্রস্তুতি নেয়া, যাতে ভবিষ্যতে রোগীর সংখ্যা বাড়লে যেন আমরা ভালোভাবে চিকিৎসা দিতে পারি। এ ক্ষেত্রে আমরা আরেকটা কাজ করতে পারি, আমাদের যারা সদ্য অবসরপ্রাপ্ত নার্স বা ডাক্তার আছেন, তাদের ডেকে কিছু প্রশিক্ষণ দিয়ে রিজার্ভ রাখতে পারি। যেকোনো সময় যেন তাদের আমরা কাজে লাগাতে পারি। নার্সের সংখ্যা কিন্তু খুবই কম। ডাক্তারের চেয়ে নার্সের সংখ্যা কম।’

‘যারা অবসরপ্রাপ্ত তাদের যদি ডাকা যায়, তাদের সেই ইনসেন্টিভ আমরা দেব, অবশ্যই। সেভাবে কিছু ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে’,- যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শ্রমিকদের একবার আসা-যাওয়ায় অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঢাকার আশপাশে বিশেষ করে গার্মেন্টস এবং অন্যান্য শিল্পাঞ্চল রয়ে গেছে। কিছু শিল্প তো আমাদের চালু রাখতেই হচ্ছে। ওধুষ কারখানা বা গার্মেন্টস। ওখানে শ্রমিকরা একবার আসলো একবার গেল – এসব করাতে একটা অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা যদি ইন্ড্রাস্ট্রি চালু না রাখি, এমনকি স্বাস্থ্য সুরক্ষা রাখার জন্য আমরা যে মাস্ক পরছি বা সুরক্ষা পোশাক তৈরি করছি - এগুলোও আমাদের প্রয়োজন হচ্ছে। সেই জায়গাটাতেই আমাদের শ্রমিকরা আসবে, সেটাকে কীভাবে সুরক্ষা দেয়া যায় এবং কীভাবে তাদের আনা-নেয়া করা যায়, সেটা আমাদের বোধহয় বিশেষভাবে দেখা দরকার। এখানে শিল্প পুলিশ সুপার আছে, কিছু কথা বলতে পারেন এ ব্যাপারে।

পিডি/জেডএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।