কামরুলকে দেশে আনা হচ্ছে বৃহস্পতিবার


প্রকাশিত: ০১:০২ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৫

সিলেটের শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যার মূল আসামি কামরুল ইসলামকে সৌদি আরব থেকে বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে নিয়ে আসছে বাংলাদেশ পুলিশ। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেল সাড়ে তিনটায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে কামরুলকে নিয়ে ঢাকায় ফিরবেন তিন পুলিশ কর্মকর্তা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, গত ৮ জুলাই সিলেটে শিশু রাজনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় তদন্ত শেষে মোট ১৩ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জনকে আগেই গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
 
ঘটনার দু’দিন পর ১০ জুলাই প্রধান আসামি কামরুল জেদ্দায় পালিয়ে যায়। প্রবাসী বাংলাদেশিরা সেখানে তাকে আটক করেন। পরে আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক মহোদয়ের নির্দেশে এআইজি (এনসিবি) মো. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া আসামি কামরুলকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেন। কামরুলের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ইন্টারপোলের মাধ্যমে এনসিবি রিয়াদকে জানান। এনসিবি রিয়াদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এনসিবি ঢাকা কামরুলের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির অনুরোধ জানায়। ২১ জুলাই কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করে। পুলিশ সদর দফতরের অনুরোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বন্দি বিনিময়ের জন্য অনুরোধ করেন সৌদি কর্তৃপক্ষকে। তবে দুই দেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় ইন্টারপোলের মাধ্যমে আসামি কামরুলকে ফেরত দিতে সম্মত হয় সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ।
 
গত ১২ অক্টোবর কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহাবুবুল করিম, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার এ এফ এফ নেজাম উদ্দিন সৌদি আরব যান।

উল্লেখ্য, পুলিশ সদর দফতরের এনসিবি শাখা ইন্টারপোলের মাধ্যমে অন্যান্য এনসিবির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিগত ৫ বছরে বিভিন্ন দেশে পালিয়ে থাকা ৯ জন আসামিকে দেশে ফেরত এনে আদালতে সোপর্দ করেছে।

জেইউ/আরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।