লাদেনের উপস্থিতির কথা জানতো পাকিস্তান!
পাকিস্তানের মাটিতে আল-কায়েদার শীর্ষনেতা ওসামা বিন লাদেনের উপস্থিতির কথা জানতো দেশটি। মঙ্গলবার ভারতীয় টিভি চ্যানেল সিএনএন আইবিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এ তথ্য জানান সাবেক পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী চৌধুরি আহমেদ মুক্তার।
রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে এক শ` কিলোমিটার দূরত্বে সেনাছাউনি ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তাদের জনপ্রিয় আবাসস্থল অ্যাবোটাবাটের ওয়াজিরিস্তান হাভেলিতে আসলে কে আত্মগোপন করেছিলেন তা জানতো পাক প্রশাসন। যদিও ২০১১ সালের ১ মে মাঝরাতে মার্কিন নৌবাহিনীর অভিযানের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রতিবারই সব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে পাকিস্তান।
সিএনএন আইবিএনকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ওসামা বিন লাদেনকে অ্যাবোটাবাদে লুকিয়ে রাখা হয়েছিলো। আর এটি করা হয়েছিলো তৎকালীন পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের অনুমতিক্রমেই।
২০১১ সালের ১ মে আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে রাখা রাডার এড়িয়ে অ্যাবোটাবাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো মার্কিন বিমান। মোট ৭৯ জন নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্য একটি বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর নিয়ে চালানো `অপারেশন নেপচুন স্পিয়ারে` মারা যান লাদেন। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইসলামাবাদে আসিফ আলি জারদারিকে ফোন করে লাদেনের মৃত্যুর খবর দেন।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন পাক প্রেসিডেন্ট জারদারি, সেনাবাহিনীর প্রধান আশফাক পারভেজ কিয়ানি এবং প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। তারা অভিযোগ করে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাক সার্বভৌমত্বের অসম্মান করেছে।
মঙ্গলবার সিএনএন আইবিএনকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে সাবেক মন্ত্রী চৌধুরি আহমেদ মুক্তার স্বীকার করেন, পাক প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তারা সবাই জানতেন অ্যাবোটাবাদে লাদেনের উপস্থিতির কথা। এছাড়া পাক সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও বিষয়টি জানতেন বলে এই মন্ত্রী জানান।
এসআইএস/আরআইপি