চিটাগাং সিমেন্ট শেয়ার কেলেঙ্কারি : আসামিদের পক্ষে ডিএসই
১৯৯৬ সালের চিটাগাং সিমেন্টের (বর্তমানে হাইডলবার্গ সিমেন্ট) শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলার আসামিদের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দুই কর্মকর্তা। বুধবার বিএসইসি স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে ডিএসইর সচিব শেখ মোহাম্মদ উল্লাহ ও সাবেক সহকারী সচিব সরকার আলী আজগার আসামিদের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। এ মামলার যুক্তিতর্কের দিন আগামী ২১ অক্টোবর ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। যুক্তিতর্ক শেষে এ মামলার রায় এ মাসে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হুমায়ুন কবীর।
জানা গেছে, আগামী ২১ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জের (বিএসইসি) প্যানেল আইনজীবী খুরশীদ আলম । আর আসামি রকিবুর রহমান ও বুলবুলের পক্ষে যুক্তি উত্থাপন করবেন সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসীন রশিদ এবং টিকে গ্রুপের আবু তৈয়বের পক্ষে খন্দকার মাহবুব হোসেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ভারতীয় এবং ইরানি বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির শেয়ার কিনবে বলে মূল্যসংবেদনশীল তথ্য ছড়িয়ে শেয়ার মূল্য প্রভাবিত করেছেন আসামিরা। বিএসইসির অনুমতি ছাড়া কোম্পানির একজন পরিচালক বড় অঙ্কের শেয়ার হন্তান্তর করেন। এছাড়া বিএসইসির নির্দেশনা সত্ত্বেও আসামি রকিবুর রহমান এবং এএস শহিদুল হক বুলবুল কোম্পানির পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯-এর লঙ্ঘন।
১৯৯৬ সালের জুলাইয়ে চিটাগং সিমেন্টের শেয়ার দর ২ হাজার ৫৮৫ টাকা থেকে প্রায় ১ হাজার শতাংশ বেড়ে একই বছরের ডিসেম্বরে ১৮ হাজার ৪৮ টাকায় উন্নীত হয়। কোম্পানিটির শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়লেও এর নেপথ্যে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জকে দেয়নি কোম্পানিটি। পরবর্তীতে দুই মাসের মধ্যে কোম্পানির শেয়ার দর ১ হাজার ৭৩১ টাকায় নেমে আসে। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এসআই/জেডএইচ/পিআর