চকরিয়ায় বিরিয়ানি খেয়ে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু : মা অসুস্থ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:৫২ এএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৫

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ক্যান্ডি নামের অভিজাত খাবার হোটেলের বিরিয়ানি খেয়ে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার শেষরাত ও বুধবার ভোররাতে চকরিয়া ও চট্টগ্রামে পৃথক সময়ে তারা মারা যায়।

নিহত শিশুরা হলো, মিলি আক্তার (৫) ও মাহিয়া আকতার (১০। তারা উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের বাঘগুজারা এলাকার গাড়ি চালক মিজানুর রহমানের সন্তান। এসময় তাদের মা বুলু আকতার (২৯) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে মিজানুর রহমান চকরিয়া পৌরশহরের কাজী মার্কেটস্থ অভিজাত হোটেল ক্যান্ডি বিরিয়ানি হাউজ থেকে তিন প্যাকেট বিরিয়ানি কিনে বাড়িতে যান। এরপর রাত ৮টার দিকে তার স্ত্রী বুলু আক্তার, দুই মেয়ে মাহিয়া ও মিলি আক্তার প্যাকেট খুলে বিরিয়ানি খান।

শিশু দুটির মামা আবদুস শুক্কুর জানান, বিরিয়ানি খাওয়ার কিছুক্ষণ পর মা মেয়ে তিনজনই বমি ও পায়খানা করতে থাকে। এ অবস্থা দেখে পরিবারের সদস্যরা তাৎক্ষণিক তিনজনকে চকরিয়া শহরের জমজম হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে রাত আনুমানিক ১১টার দিকে হাসপাতালের কতর্ব্যরত চিকিৎসক শিশু মিলি আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরো জানান, অবস্থা বেগতিক দেখে অসুস্থ মা বুলু আক্তার ও মেয়ে মাহিয়াকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে বুধবার ভোররাতে মাহিয়া মারা যায়।

চিকিৎসকদের ধারণা, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে।  
খাবারের বিষয়ে জানতে ক্যান্ডি চকরিয়া শাখার ব্যবস্থাপক আহমদ হোসেনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

চকরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নয় বলে জানিয়েছেন।

বরইতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন জিয়া তথ্যটি শুনেছেন স্বীকার করে বলেন, চকরিয়ায় মারা যাওয়া শিশুর লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সায়ীদ আলমগীর/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।