মাজেদের সাথে সাক্ষাৎ করতে কারাগারে স্বজনরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৪৬ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২০

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গেছেন তার স্বজনরা।

শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কারা কর্তৃপক্ষের ডাকে তারা কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন। কারা কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল সূত্র জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ক্যাপ্টেন মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে তার স্বজনদের সাক্ষাৎ করতে ডেকে নিলো কারা কর্তৃপক্ষ।

দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির মঞ্চটি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে জল্লাদের একটি দল। যেকোনো সময় কার্যকর হতে পারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের মৃত্যুদণ্ড। শনিবার অথবা রোববার ফাঁসি কার্যকরের সম্ভাবনা বেশি বলেও জানায় সূত্রটি।

বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত মাজেদ ২৩ বছর ধরে পলাতক থাকলেও ৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রিকশায় ঘোরাঘুরির সময় তাকে মিরপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

পরে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে সিটিটিসি। এরপর মাজেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

৮ এপ্রিল মৃত্যুর পরোয়ানা পড়ে শোনানোর পর সব দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান আবদুল মাজেদ। প্রাণভিক্ষার আবেদনটি নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

কারা সূত্র জাগো নিউজকে জানায়, প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি বাতিল করে দেয়ার পর সেই চিঠিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়। কারাবিধি অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম চলবে।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আবদুল মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। প্রাণভিক্ষার আবেদন বাতিল হয়ে যাওয়ায় ফাঁসির আদেশ কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকলো না। এখন পরবর্তী প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তার ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হবে।

এআর/এইচএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।