বাইরে মানুষের আনাগোনা বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:০৯ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০২০

দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতি বাড়লেও মানুষের বাইরে বের হওয়া রোধ করা যাচ্ছে না। বজায় রাখা যাচ্ছে না সামাজিক দূরত্বও।

গত কয়েক দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা বেশি দেখা যাচ্ছে। শবে বরাত উপলক্ষে মানুষ কেনাকাটা করতে বাইরে বেরিয়ে এসেছেন। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার কয়েকটি স্থান ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

dhaka

যাত্রাবাড়ী, মাতুয়াইল, রায়েরবাগসহ কয়েকটি স্থানের বাজারে প্রচুর ভিড় দেখা গেছে। এতদিন গরুর মাংসের দোকানগুলো বন্ধ থাকলেও আজ তা খুলেছে। মানুষ জমিয়ে মাংস কিনছেন।

meat

মুরগি বিক্রির দোকানগুলোর সামনেও ভিড় দেখা গেছে। মাস্ক পরা ছাড়া কাউকেই করোনার সংক্রমণ রোধে দূরত্ব মেনে চলতে দেখা যায়নি। কারও কারও মুখে মাস্কও ছিল না।

dhaka

মাতুয়াইলে খানবাড়ি মোড়ে মাছ বিক্রি করছেন মোসলেম মিয়া, তার মুখে মাস্ক নেই। তিনি বলেন, 'রোজগার না করলে চলমু কেমনে বাবা। মাছ বেচাই আমার কাম। মুখে মাস্ক দিলে কাস্টমারের লগে কথা কমু কেমনে। আমি বাবা বেশি সময় থাহি না।’

উত্তর রায়েরবাগ বাইতুত তাকওয়া মসজিদ (দোতলা মসজিদ) থেকে মেইন রোড পর্যন্ত নিত্যপণ্য বিক্রি করা হয়। এখানে ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। নারীদের সংখ্যাই ছিল বেশি।

dhaka

এই বাজারে বাজার করতে এসেছেন ইলিয়াস হোসেন। তিনি বলেন, কবরস্থানের দক্ষিণ পাশে চাঁনবানু মসজিদ গলিতে আমার বাসা। আমি একটি কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগে চাকরি করি। অনেক দিন ধরে অফিসে যাচ্ছি না। বাইরে আসা ঝুঁকি জেনেও বাধ্য হয়ে এসেছি। বাজার না করলে চলব কীভাবে।’

এই এলাকায় চা দোকানও খোলা রাখতে দেখা গেছে। স্থানীয়রা জানান, মাঝে মাঝে পুলিশ ও স্থানীয় কাউন্সিলরের পক্ষ থেকে লোকজনকে ভিড় না করার জন্য বলে থাকে। তারা এলে অনেকে দোকান বন্ধ করে দেয়। চলে গেলে আবার খোলে।

dhaka

উত্তর রায়েরবাগে মেইনরোডের কাছে ছোট মাছ বাজারটিতে মানুষ গিজগিজ করছিল।

dhaka

বুধবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৮ জনে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে।

আরএমএম/জেডএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।