নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সামনে যুবক অপহরণ : উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশের সামনে দিয়ে ফাহিম (১৮) নামে এক যুবককে মারধর করে অপহরণের সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শহরের কালিরবাজার স্বর্ণপট্টি এলাকা থেকে ফাহিমকে উদ্ধার করা হয়। তবে এসময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে একজন নারীর ছবিতে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় পৌর শহীদ মিনার সংলগ্ন পাবলিক টয়লেটের সামনে ৬/৭ জন যুবক ফাহিমকে মারধর করতে থাকে। ঘটনার একপর্যায়ে তারা ফাহিমকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। তবে সেই মুহূর্তে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উপস্থিত পুলিশের সাহায্য চাওয়া হলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় ‘মাইরা লা গা, আমরা কি করমু, আমাদের কাছে লাঠি নাই।
শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কর্তব্যরত চাষাঢ়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই (উপ-পরিদর্শক) আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, কয়েকজন ছেলে একটি ছেলেকে মারধর করছে এমন খবর শুনে বালুরমাঠ এলাকায় ছুটে যান। তবে সেখানে পৌঁছানোর আগেই তারা ওই ছেলেকে নিয়ে যায়। আশেপাশে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন ওই ছেলের নাম ফাহিম। এছাড়াও ইসদাইর এলাকার কাসেমের ছেলে আনন্দসহ কয়েকজন ওই ছেলেকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে বলে শুনেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে মেরে ফেলার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এসআই আলমগীর হোসেন আরো বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুল বোঝাবুঝিতে হয়েছে। এমন মন্তব্য ছিল না।
এদিকে ওই ঘটনার পর অপহৃত ফাহিমকে উদ্ধারে পুলিশের ২টি টিম মাঠে নামে। ফাহিমকে উদ্ধারে তারা বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কালিরবাজার স্বর্ণপট্টি এলাকা থেকে ফাহিমকে উদ্ধার করে সদর মডেল থানা পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ওসি আব্দুল মালেক জাগো নিউজকে জানান, অপহৃত ফাহিমকে শহরের কালীরবাজার এলাকার স্বর্ণপট্টি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করে তাকে চিকিৎসার জন্য খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ফাহিমকে উদ্ধার করা হলেও অপহরণের সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। ফাহিম শহরের আমলাপাড়া এসকে রোডের আমজাদ হোসেনের ছেলে। তবে তাকে কি কারণে অপহরণ করা হয়েছে তাৎক্ষণিক সেটা জানাতে পারেননি তিনি।
শাহাদাৎ হোসেন/এমএএস/আরআইপি