১১০ বছরের ঐতিহ্য ভেঙে স্থগিত ‘জব্বারের বলীখেলা’
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ‘জব্বারের বলীখেলা’, এবার যার ১১১তম আসর বসার কথা ছিল। বিখ্যাত এই কুস্তি প্রতিযোগিতা প্রতি বছরের ১২ বৈশাখ চট্টগ্রামের লালদীঘির মাঠে আয়োজন হয়ে আসছে। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের থাবায় ১১০ বছরের ঐতিহ্য ভেঙে এবারই প্রথম স্থগিত করা হলো এই খেলা ও তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা।
রোববার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আবদুল জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জামাল হোসেন।
মুহাম্মদ জামাল বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধেও জব্বারের বলীখেলা বন্ধ ছিল না। সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতি বছর ১২ বৈশাখ চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে এ বলীখেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবার সেটি ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠানের কথা ছিল। মাহে রমজানের কারণে ছোট পরিসরে করার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বলীখেলা ও তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলাসহ সব অনুষ্ঠান স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’
তিনি বলেন, ‘কুস্তি এই অঞ্চলের অত্যন্ত প্রাচীন সংস্কৃতির উপকরণ। মধ্যযুগে সেনাবাহিনীতে যারা চাকরি নিত তাদের শারীরিক সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য তারা কুস্তি করতেন। সেখান থেকেই এর শুরু। ১৯০৯ সালে প্রথম এই প্রতিযোগিতার প্রবর্তন করেন চট্টগ্রামের জমিদার আবদুল জব্বার সওদাগর। তিনি স্থানীয় প্রভাবশালী ও একজন ধনী ব্যক্তি ছিলেন। তখন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন চলছিল। সেসময় তরুণ প্রজন্মকে শারীরিকভাবে সমর্থ করার ধারণা থেকে এই প্রতিযোগিতা প্রথম চালু করেন জব্বার সওদাগর।’
জেডএ/এমকেএইচ