ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বাংলাদেশির মৃত্যুর ঘটনায় বিএসএফের ব্যাখ্যা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০৬ পিএম, ০৩ এপ্রিল ২০২০

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চোষপাড়া সীমান্তে গুলিতে জয়নাল আবেদিন (৩৫) নামে এক বাংলাদেশির প্রাণ হারানোর ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী (বিএসএফ)।

গত বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) ভোরে চোষপাড়া সীমান্তে ঘটনাটি ঘটে বলে খবর আসার পর শুক্রবার (৩ এপ্রিল) এক বার্তায় নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে তারা।

বিএসএফের বার্তায় বলা হয়, ঘটনাটি ঘটে বুধবার (১ এপ্রিল) রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে বিএসএফের বিওপি চকলাগড় এলাকার সীমান্তে। ওই সময় মাদক পাচারকারী চক্র ভারতীয় অংশ থেকে বাংলাদেশে ফেনসিডিলের একটি চালান ঢোকাচ্ছিল। সেসময় সেখানে টহলরত বিএসএফের একটি দল ওই পাচারকারী চক্রের হামলার শিকার হয়। তখন পাচারকারীদের সতর্কতা দেয়া হলেও তারা সীমান্তের বেড়া ছিঁড়ে ফেলে।

‘কোনো উপায় না দেখে এবং আত্মরক্ষায় টহল দল ওই পাচারকারীদের গুলি করে। তখন পাচারকারীরা বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে যায়, তবে একজনের গায়ে গুলি লাগলে সে আহতাবস্থায় পড়ে থাকে। আহত ওই ব্যক্তি সেখানেই মারা যায়। পরে তার পরিচয় জানা যায়, সে বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সমিরনগরের বাসিন্দা।’

ঘটনাটি ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যেই ঘটেছে উল্লেখ করে বিএসএফের পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়, গত বছরের অক্টোবরে ঢাকায় বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর মহাপরিচালক পর্যায়ের সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, সীমান্তে ফেনসিডিলসহ অন্যান্য অবৈধ পণ্য পাচারের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।

যদিও ওই ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রহিমের বরাত দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, জয়নাল বিয়ে করেছে ভারতের পানজিপাড়া গ্রামে। চোষপাড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে শ্বশুরবাড়িতে যাতায়াত করতো। বৃহস্পতিবার ভোরে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার সময় বিএসএফ সদস্যরা টের পেলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলি লেগে জয়নাল মারা গেলে তার লাশ তুলে নিয়ে যায় বিএসএফ।

জেপি/এইচএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।