সমবায় প্রতিষ্ঠানের মানিলন্ডারিং নীতিমালা করতে হবে


প্রকাশিত: ০৩:৩২ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০১৫

মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মত সমবায় সমিতিরও নিজস্ব একটি নীতিমালা তৈরি করতে হবে। যা প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে।

সোমবার মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে সমবায় সমিতি নিয়ম-নীতি সংক্রান্ত এ নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) নির্দেশনাটি জারি করেছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, নিজস্ব নীতিমালার পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা কমিটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রধান কার্যালয়ে একটি কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিট গঠন করতে বলা হয়েছে। যা সরাসরি সমিতির নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক তত্ত্বাবধান করতে হবে।

সমবায় সমিতিসমূহ তাদের গ্রাহক/সদস্য, প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগী (ব্যক্তি, দল বা সংগঠন), ভৌগোলিক এলাকা, পণ্য, সেবা, লেনদেন বা সেবা প্রদান চ্যানেল ইত্যাদি বিষয়সমূহ বিবেচনা করে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের ঝুঁকি যথাযথভাবে নিরুপন ও পর্যালোচনা করে তা মোকাবেলার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে বিএফআইইউ। পাশাপাশি গ্রাহক বা সদস্য নির্বাচনেরও একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করতে বলা হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট ফরমে প্রতি গ্রাহকের আলাদা আলাদা পরিচিতি সংরক্ষণ করতে হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বেনামে বা ছদ্মনামে কোনো গ্রাহক/সদস্যের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করা যাবে না। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তালিকাভুক্ত কোনো ব্যক্তি বা সত্ত্বা এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তালিকাভুক্ত কোনো ব্যক্তি বা নিষিদ্ধঘোষিত সত্ত্বার কাছ থেকে কোনো আমানত সংগ্রহ বা কোনো ঋণ প্রদান না করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আর সন্দেহজনক লেনদেন খুঁজে পেলে তা দ্রুত প্রয়োজনীয় দলিলাদিসহ কন্ট্রাক্ট পয়েন্টের নিকট প্রেরণ করতে হবে। জাতীয় পর্যায়ের সমবায় সমিতিগুলোর ক্ষেত্রে কন্ট্রাক্ট পয়েন্টে তথ্যগুলো দ্রুত কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিট বরাবর প্রেরণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এসআই/একে/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।