দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রাক থেকে নিত্যপণ্য কিনছেন নিম্ন আয়ের মানুষ
করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অপেক্ষাকৃত গরিবদের মূল ভরসা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকের মাধ্যমে বিক্রিত পণ্য। করোনার এ সময়ে রাজধানীর কয়েকটি স্পটে কম দামে পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি। আর লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রাক থেকে কম দামে পণ্য কিনছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা।
সোমবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি স্পটে আটা, চিনি, তেল ও ডাল বিক্রি হচ্ছে। কোথাও ক্রেতা নেই আবার কোথাওবা টিসিবির ট্রাকের পণ্য কিনতে গ্রাহকরা লাইন ধরছে।
দুপুর ১টায় আশকোনা হজ ক্যাম্পের সামনে একটি টিসিবির ট্রাকের সামনে নানা বয়সী নারী, পুরুষ ও শিশুকে পণ্য কিনতে দেখা যায়। প্রখর রোদে দাঁড়ানো মানুষগুলোর অধিকাংশই নিম্ন আয়ের।
তাদেরই একজন স্থানীয় প্রেমবাগান এলাকার রিকশাচালক মজনু মিয়া। তিনি রিকশাটি একটি পানের দোকানের সামনে রেখে লাইনে দাঁড়িয়ে দুই লিটার তেল ও দুই কেজি আটা কেনেন।
আলাপে তিনি জানান, করোনার ভয়ে রাস্তায় মানুষ নেই। আগের মতো ক্ষেপ পাওয়া যায় না। সকাল থেকে যৎসামান্য যা রোজগার হয়েছে তা দিয়ে তেল ও আটা কিনে নিয়েছেন। মজনু মিয়ার মতো আরও অনেককেই টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য কিনে দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে দেখা যায়।
এদিকে, আগামী ১ এপ্রিল থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে সাড়ে ৩০০ ডিলারের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। ঢাকা মহানগরে ৫০টি, চট্টগ্রাম মহানগরে ৫০টি, ছয় বিভাগীয় শহরে ১০টি করে ৬০টি এবং ৫৬টি জেলা শহরে ৪টি করে মোট ২২৪টি স্পটে ডিলাররা তাদের নিজস্ব ট্রাকযোগে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য বিক্রি করবে।
ভোক্তারা প্রতি কেজি চিনি (তীর ব্রান্ডের) ৫০ টাকা, মসুর ডাল (তীর ব্রান্ডের মাঝারি সাইজ) ৫০ টাকা, সয়াবিন তেল (সেনা, পুষ্টি, বসুন্ধরা ও সিটি ব্রান্ড) ৮০ টাকা দরে ক্রয় করতে পারবেন। আপাতত এ সব পণ্য বিক্রি হলেও কিছু দিনের মধ্যে ছোলা, পেঁয়াজ ও খেজুর বিক্রি শুরু হবে। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৪ কেজি চিনি, ৫ কেজি তেল ও ২ কেজি মশুর ডাল কিনতে পারবেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ও প্রতিরোধে রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষ কার্যত ঘরবন্দি। তবুও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে মানুষকে ঘরের বাইরে বের হতে হচ্ছে। যাদের সামর্থ্য আছে তারা বাজারে গিয়ে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে আনছেন।
এমইউ/এফআর/এমকেএইচ