ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের নিয়ে গ্রামীণফোনের হেল্পলাইন চালু
ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের সহায়তা দিতে গ্রামীনফোন চালু করেছে চাইল্ড হেল্পলাইন-১০৯৮। যৌথভাবে গ্রামীণফোন ও ইউনিসেফ সফল করবে চাইল্ড হেল্পলাইন-১০৯৮।
সোমবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। এটি হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম চাইল্ড হেল্প লাইন।
চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে ইউনিসেফের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বেগবেডার ও গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার ইয়াসির আজমান এবং চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন ও বাংলাদেশে টেলিনরের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিসার হ্যান্স মার্টিন হোয়েগ হেনরিকসন।
গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার ইয়াসির আজমান তার বক্তব্যে বলেন, ২০১১ সাল থেকে এ চাইল্ড হেল্পলাইন ঝুঁকির মধ্যে থাকা রাজধানীর অসহায় ও দুঃস্থ শিশুদের তাৎক্ষণিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। বিনামূল্যের ১০৯৮ চাইল্ড হেল্পলাইনটি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধিন সমাজসেবা অধিদপ্তরের একটি প্রকল্প। এ প্রকল্পে সহযোগী এনজিও অপরাজেয় বাংলাদেশের মাধ্যমে সহায়তা দিচ্ছে ইউনিসেফ। ঝুঁকির মধ্যে থাকা এসব শিশুদের নিয়ে যারা কাজ করছেন এ হেল্পলাইন থেকে ২৪ ঘণ্টাই তাদের তাৎক্ষণিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এ হেল্পলাইন সেবা শিশুদের উদ্ধার, নিরাপদ আশ্রয়, পুনর্বাসন ও নেটওয়ার্কের অর্ন্তভূক্তকরণের মাধ্যমে এসব শিশুদের সমাজে বিদ্যমান সামাজিক সুরক্ষার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করে।
অনুষ্ঠানে এডওয়ার্ড বেগবেডার বলেন, চাইল্ড হেল্পলাইন এতটাই সফল হয়েছে যে, আমরা এ সেবার সম্প্রসারণ করতে চেয়েছি। গ্রামীণফোন ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে একসাথে কাজ করার মাধ্যমে আমাদের সে চাওয়াটা আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে।
গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার ইয়াসির আজমান বলেন, সমাজের ক্ষমতায়নের দিকেই গ্রামীণফোনের দৃষ্টি। দুর্দশাগ্রস্থ শিশুদের ক্ষমতায়নের হাতিয়ার হিসেবে চাইল্ড হেল্পলাইন নিজেকে প্রমাণ করেছে।
টেলিনর বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিসার হ্যান্স মার্টিন হোয়েগ হেনরিকসন বলেন, মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে শিশুদের অধিকার রক্ষায় বৈশ্বিকভাবে সহযোগিতার ভিত্তিতে ইউনিসেফের সঙ্গে একসাথে কাজ করার ক্ষেত্র নিয়ে টেলিনর গর্বিত। দেশের অর্থনীতি ও সমাজ কল্যাণের ক্ষেত্রে টেলিকম খাত যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে তা প্রমাণিত।
পাইলট প্রকল্পের সফলতার ওপর নির্ভর করে গ্রামীণফোন অতিরিক্ত ১০টি উপজেলা এবং ঢাকা ও খুলনাসহ দু’টি সিটি কর্পোরেশন ও দাকোপ, ডিমলা, ডোমার, নীলফামারী সদর, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ি, ভোলা সদর, লালমোহন ও চরফ্যাশনে এর কার্যক্রমে সহায়তা করা হবে।
আরএম/ এমএএস/পিআর