চোখ-কান খোলা রাখতে বললেন প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত: ০১:৩২ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০১৫
ফাইল ছবি

ইতালীয় নাগরিক তেভেলা সিজার ও জাপানের কুশিও হোসি হত্যার ঘটনার পর সবাইকে সজাগ থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেন এবং কী উদ্দেশ্যে ইতালি ও জাপানের নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে তা বের করতে সবার চোখ কান খোলা রাখতে বলেছেন তিনি। আর যাতে এ ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে সেজন্য মন্ত্রী, এমপি ও দলের নেতাকর্মীসহ সবাইকে সতর্ক থাকতেও বলেছেন।

সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন।বৈঠক শেষে মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য জাগো নিউজকে এসব কথা জানিয়েছেন। সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠকে উপস্থিত একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী জাগো নিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এমন সময় বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা হতে পারে। কোথাও যাতে এ ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটতে পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে।

দুই বিদেশি হত্যার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কারা এ ধরনের ঘটনা ঘটালো, কী উদ্দেশ্যে ঘটালো তা খুঁজে বের করতে হবে। সেই চেষ্টা চলছে। আমরা ভালো অবস্থায় আছি, সরকার ভালোভাবেই চলছে। হঠাৎ করে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। এর পেছনে কী আছে সেটা বের করতে হবে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে যে এ ধরনের ঘটনা ঘটে না তা নয়। এ ঘটনা সম্পর্কে বক্তব্য দিতে গিয়ে সবার ব্যাখ্যা যাতে একই রকম হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। একেক জন একেক রকম কথা বলবেন না।

এ সময় সরকারের কাজের গতি বাড়ানোর জন্যও মন্ত্রীদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠক সূত্র বলছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশের উদাহারণ টানেন।

বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এটাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিলো দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা। সিনিয়র মন্ত্রীরাও এর পক্ষে মত দেন।

এসএ/ এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।