ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধনকর্মীরা পেলেন মাস্ক-গ্লাভস-জুতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২১ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২০

করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। উদ্যোগগুলোর পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধনকর্মীদের মাঝে গ্লাভস, মাস্ক, বুট জুতা বিতরণ করা হয়েছে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে।

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধনকর্মীদের মাঝে এসব বিতরণ করা হয়। গ্লাভস ও মাস্ক ৪৩৮টি, বুট জুতা ৪৭ জোড়া। কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালের কাছাকাছি যাদের কাজ করতে হয় তাদের মাঝে ১৫টি পিপিই (পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট) বিতরণ করা হয়েছে।

DNCC-2.jpg

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দৈনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রোববার ৮টি পানির গাড়িতে মোট ১১ বার ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত জীবাণুনাশক তরল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকার প্রধান সড়ক ও উন্মুক্ত স্থানে ছিটানো হয়।

জীবাণুনাশক ছিটানোর স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে- শেওড়া ও সংলগ্ন এলাকা, মিরপুর সেকশন ১০, ১৩, ১৪ ও সংলগ্ন এলাকা, কাফরুল, ইব্রাহিমপুর ও সংলগ্ন এলাকা, টেকনিক্যাল মোড়, সনি সিনেমা হল, রাইনখোলা, চিড়িয়াখানা রোড, কমার্স কলেজ ও সংলগ্ন এলাক, মোহাম্মদপুর টাউন হল, রায়েরবাজার ও সংলগ্ন এলাকা, মধুবাগ, মগবাজার, খিলগাঁও ও সংলগ্ন এলাকা, কলেজগেট, তেজগাঁও, নতুনবাজার, ১০০ ফুট ভাটারা সড়ক ও সংলগ্ন এলাকা।

DNCC-2.jpg

৮টি পানির গাড়ির মাধ্যমে আজ মোট ১ লাখ ১০ হাজার লিটার তরল জীবাণুনাশক ডিএনসিসির ১৬ লাখ ৫০ হাজার বর্গফুট এলাকায় ছিটানো হয়। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডের অলিগলিতে, মসজিদের সামনে মশক নিধনকর্মীরা হ্যান্ড স্প্রে ও হুইল ব্যারো মেশিনের সাহায্যে তরল জীবাণুনাশক স্প্রে করেন।

এদিকে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডিএনসিসির ফেসবুক পেজে প্রচার অব্যাহত আছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে সচেতনতামূলক স্টিকার লাগানো হচ্ছে। বস্তিবাসীসহ প্রতিটি ওয়ার্ডে হাত ধোয়া কার্যক্রম চলমান। জনগণকে সচেতন করার জন্য মাইকিংও করা হচ্ছে।

DNCC-2.jpg

রোববার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে মিরপুরের টোলারবাগে আটকে পড়া ১ হাজার পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করা হয়। প্রতিটি পরিবারকে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি পেঁয়াজ, ২ কেজি আলু এবং ১ লিটার তেল বিতরণ করা হয়। এতে প্রতি পরিবারের খাদ্যদ্রব্যের জন্য ব্যয় হয় ৬০০ টাকা।

বিদেশফেরত ব্যক্তিদের সেলফ কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে ওয়ার্ড কাউন্সিলররা তালিকা করে ঠিকানা অনুযায়ী যাওয়া অব্যাহত রেখেছেন।

DNCC-2.jpg

বিভিন্ন অঞ্চলে ডিএনসিসি ও সেনাবাহিনীর যৌথ টহল অব্যাহত রয়েছে। জনগণকে ঘরে অবস্থান করার জন্য তারা উদ্বুদ্ধ করছেন। ডিএনসিসির পক্ষে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা এ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণসহ সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলের প্রতিটিতে সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে সম্মিলিত অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে আজ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মামলা ও দণ্ড (জেল-জরিমানা) প্রদানের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

এএস/এমএসএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।