প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষিকার মামলা


প্রকাশিত: ১২:১০ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০১৫

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় এক সহকারী শিক্ষিকা ও তার স্বামীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত শনিবার হাতীবান্ধা উপজেলার আমঝোল কাজীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা লতা রানী বাদী হয়ে একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বারকে অভিযুক্ত করে এ মামলাটি করেন। তবে ঘটনাটি জানা জানি হয়েছে সোমবার।

জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নে আমঝোল কাজীর হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা লতা রানীর (৩০) গত ২২ সেপ্টেম্বর তার স্বামী হরেস চন্দ্রের (৩৫) সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে স্কুল আসেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে একটু দেরীতে আসার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার। এক পর্যায়ে তিনি হরেস চন্দ্রকে মারধর করলে স্বামীকে বাঁচাতে এসে লতা রানীকেও লাঞ্ছিত করেন তিনি। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

এলাকাবাসী জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আ. জব্বার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তার বড় ভাই আব্দুল জলিল বর্তমানে গোতামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার এক সময় যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলেই এলাকাবাসী তাকে ক্ষমতাসীন দলের লোক হিসেবেই চেনেন। ব্যক্তিগত প্রভাবের কারণেই স্কুল দেরীতে আসায় তিনি সহকারী শিক্ষিকা লতা রানী ও তার স্বামীকে পিটিয়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার অভিযোগ অস্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, ওইদিন বেলা ১১টার দিকে স্কুল আসার কারণে লতা রানী ও তার স্বামীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল মাত্র।

হাতীবান্ধা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম জাগো নিউজকে জানান, দু‘দিন আগে মামলাটি নথিভূক্ত হয়েছে। সোমবার বিকেলে তিনি মামলার তদন্তকাজে ঘটাস্থলে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

রবিউল হাসান/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।