দলীয় পরিচয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ
রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন ও প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ গ্রহণ চূড়ান্ত করেছে সরকার। এজন্য পাঁচটি আইন সংশোধনী অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা।
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রীসভার নিয়মিত বৈঠকে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন আইন সংশোধনের খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতেও রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অংশ নিতে পারবেন। এটা ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। উন্নত বিশ্বে এমন চর্চা আছে বলে বাংলাদেশও সেই দিকে যাচ্ছে বলে জানান সচিব।
ডিসেম্বরের মধ্যে পৌরসভা নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা থাকায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন (পৌরসভা) (সংশোধন) আইন-২০১৫ ভেটিংয়ের পর অধ্যাদেশ আকারে জারি হবে।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) আইন ২০১৫, উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন ২০১৫, জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন ২০১৫ এবং স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধন) আইন ২০১৫ ভেটিংয়ের পর পাসের জন্য সংসদে যাবে।
সচিব বলেন, এই পাঁচটি আইনের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার পরিচালিত হয়। এই সংশোধন ছোট হলেও রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে এর প্রভাব অনেক বেশি।
চলতি বছরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সব স্তরের নির্বাচন দলীয়ভাবে করার পক্ষে মত দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, উন্নত গণতন্ত্রে স্থানীয় সরকার নির্বাচনও দলীয় মনোনয়নে হয়। যেমন ব্রিটেন। ভারতেও স্থানীয় নির্বাচন দলীয় মনোনয়নে হয়।
এসএ/এসকেডি/পিআর