সাধারণ সর্দি-জ্বরের পৃথক সেবাকেন্দ্রটি বন্ধ হলো ঢামেকে

মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল
মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০২:১১ পিএম, ২৪ মার্চ ২০২০

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বহির্বিভাগে জ্বর, হাঁচি,কাশি, মাথাব্যথা ও শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য পৃথকভাবে চালুকৃত সেবা কেন্দ্রটি বন্ধ করে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমে গেছে এমন অজুহাতে পৃথক এ সেবা কেন্দ্রটি গতকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। বন্ধের পর কোথায় কোন বিভাগ থেকে এ ধরনের রোগীরা সেবা পাবেন সে সংক্রান্ত কোনো বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়নি। চিকিৎসা নিতে এসে অনেক রোগীকে ফিরে যেতে হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভিন্ন একটি সূত্র বলছে, বহির্বিভাগে সেবাদান কেন্দ্রে যে চিকিৎসক-নার্স অন্যান্য সহযোগী কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন করছিলেন তাদের জন্য পর্যাপ্ত পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) ব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসকদের চাপের মুখে এ সেবাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ সম্প্রতি জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে বলেছিলেন, ঋতু পরিবর্তনজনিত কারণে বর্তমানে অনেকেই সাধারণ জ্বর, সর্দি- কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। সাধারণ ফ্লু ভাইরাস এবং করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর উপসর্গ প্রায় একই রকম হয়। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করতে এসে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে যেন অন্যরা সংক্রমিত না হয় সেজন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সপ্তাহখানেক আগে বহির্বিভাগে পৃথক প্যান্ডেল ও কক্ষ তৈরি করে পৃথক সেবা কেন্দ্রটি চালু করা হয়। কিন্তু সপ্তাহ না ঘুরতেই পৃথক এ সেবা কেন্দ্রটি বন্ধ হওয়ায় রোগীদের ভোগান্তি বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকে।

dmc3

আজ (২৪ মার্চ) মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সরোজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বিপরীত দিকে ঢামেক হাসপাতালের ওষুধ বিতরণ কেন্দ্রের পাশে ফাঁকা জায়গায় যেখানে অস্থায়ী ভিত্তিতে জ্বর, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসা রোগীদের জন্য পৃথক সেবাকেন্দ্র চালু হয়েছিল সে স্থানটি ফাঁকা। পাশেই প্যান্ডেলের বাঁশ পড়ে আছে। আশপাশে হকাররা দাঁড়িয়ে মাস্ক ও গ্লাভস বিক্রি করছেন। আউটডোর ঘুরে দেখা গেছে রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম।

চিকিৎসক-নার্স এমনকি কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতাদের আজ পিপিই পরে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। মেডিসিন বিভাগের একজন কর্তব্যরত ব্যক্তি জানান, করোনা আতঙ্কে রোগীর সংখ্যা কমে গেছে। আগে বহির্বিভাগে প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫০-৩০০ রোগী এলেও, আজ বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৫২ জন রোগী এসেছেন।

পৃথক সেবা কেন্দ্রটি বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন জানান, রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ায় তারা এ পৃথক সেবা কেন্দ্রটি বন্ধ করে দিয়েছেন।

তিনি জানান, আগের মতো জ্বর, হাঁচি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের রোগীরা আউটডোরে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবেন। তিনি ব্যস্ত আছেন বলেই বিষয়ের বিস্তারিত কিছু তাৎক্ষণিকভাবে বলতে রাজি হননি।

এমইউ/এনএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।