হঠাৎ চাহিদা বেড়েছে টিসিবি পণ্যের

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৫৯ এএম, ১৯ মার্চ ২০২০

বিশ্বের অন্তত ১৭০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস। বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত ১৪ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, মারা গেছেন একজন। এ ভাইরাসের সংক্রমণ আরও বিস্তার লাভ করতে পারে এমন আশঙ্কায় নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য যেমন- চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ ও চিনির চাহিদা অনেক গুণ বেড়ে গেছে। যদিও সরকারের তরফ থেকে বারবার আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত কেনাকাটা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

ভয়ঙ্কর ছোঁয়াচে করোনা ভাইরাস ঠেকাতে খুব শিগগিরই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা লকডাউন ঘোষণায় দোকানপাট বন্ধ হতে পারে এমন আশঙ্কায় বড় বড় শপিং মলের সুপারস্টোর থেকে শুরু করে পাড়ামহল্লার মুদি দোকানেও নিত্য পণ্য ক্রয়ের হিড়িক পড়েছে। চাহিদা বেড়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাক সেলের মাধ্যমে বিক্রিত পণ্যদ্রব্যের।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ সব ধরনের পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত ও সরবরাহ রয়েছে। মূল্যও স্বাভাবিক রয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে আতঙ্কিত হয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় করার প্রয়োজন নেই। মন্ত্রীর বক্তব্যে আস্থা রাখতে পারছেন না সাধারণ মানুষ।

গতকাল (১৮ মার্চ) এ প্রতিবেদক রাজধানীর লালবাগ ও ধানমন্ডি এলাকা ঘুরে ও দোকানিদের সঙ্গে আলাপকালে জানতে পারেন আগের তুলনায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি বহুলাংশে বেড়েছে। অনেকেই আগের তুলনায় দ্বিগুণ পণ্যে কিনছেন।

jagonews24

গতকাল দুপুর ১টায় আজিমপুরে টিসিবির একটি ট্রাকে প্রতি কেজি চিনি ৫০টাকা, মশুর ডাল ৫০টাকা, সয়াবিন তেল (২ ও ৫ লিটারের) প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। এ সময় সামনে বেশ কিছু সংখ্যক নারী ও পুরুষের প্রত্যেককে বেশি বেশি করে সয়াবিন তেল, চিনি, ডাল ও পেঁয়াজ কিনতে দেখা যায়।

দুই লিটারের চারটি সয়াবিন তেল ক্রেতা মধ্যবয়সী এক নারীকে একসঙ্গে আট লিটার তেল কেন কিনছেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, টিভিতে দেখছি বিভিন্ন দেশে করোনার কারণে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। আমরা গরিব মানুষ। দোকানপাট খোলা না থাকলে জিনিসপেত্রের দাম বাড়ে। এ কারণে একটু বেশি করে জিনিসপত্র কিনে রাখছি।

এ পর্যন্ত বিশ্বের অন্তত ১৭০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এতে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ২ লাখ ১২ হাজার ৮৭০ জন। প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭৮৯ জন। এ পর্যন্ত ৮৪ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসার মাধ্যম সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বাংলাদেশে মোট ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। এরমধ্যে একজন মারা গেছেন।

এমইউ/এনএফ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।