করোনায় আক্রান্ত আরও ২ জন
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:১৯ পিএম, ১৭ মার্চ ২০২০
দেশে আরও দুইজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ জনের নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে পরীক্ষা করার পর এ দুজনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ জনে।
মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
ডা. ফ্লোরা জানান, এখন পর্যন্ত আমরা ২৭৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করেছি ৩৬ জনের। এদের মধ্যে পরীক্ষায় দু’জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। অর্থাৎ আরও দুজন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ জনে।
‘নতুন দুজনের মধ্যে একজন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। আরেকজন একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, যিনি বিদেশ থেকে আসা এক ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিলেন। আমরা গতকালও বলেছি আজকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, পারিবারিকভাবে হোম কোয়ারেন্টাইন শক্তভাবে পালন করতে হবে। করোনা সংক্রমণ হয়েছে এমন ব্যক্তির পরিবার নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছে বলে আমার দেখতে পাচ্ছি। দেশে এখন মোট ১৬ জন আইসোলেশনে আছেন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৪৩ জন।’
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে করোনাভাইরাসের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকতে নাগরিকদের করণীয় তুলে ধরেন ডা. ফ্লোরা।
এর আগে গত ৮ মার্চ দেশে প্রথমবারের মতো তিনজন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানায় আইইডিসিআর। পরে আরও দুজন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কথা জানায় সরকার। এদের মধ্যে তিনজন সুস্থ হয়ে যান। ১৬ মার্চ আরও তিনজন আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানায় আইইডিসিআর। আর মঙ্গলবারের তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনায় মোট ১০ জন সংক্রমিত হলেও তিনজন সুস্থ হয়ে যাওয়ায় এখন চিকিৎসাধীন আছেন ৭ জন।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস বিশ্বের ১৬২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বিশ্বব্যাপী ৭ হাজার ১৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৮২ হাজার ৫৫০। অপরদিকে, হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৯ হাজার ৮৮১ জন।
জেইউ/এইচএ/বিএ/জেআইএম