অবৈধ সংযোগ অপসারণে অভিযান জোরদার করছে তিতাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২৯ পিএম, ১৪ মার্চ ২০২০

অবৈধ গ্যাস সংযোগ অপসারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযানে নামছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। তিতাস গ্যাসের জনসংযোগ বিভাগের পক্ষ থেকে জনসচেতনতায় সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, বর্তমানে অবৈধভাবে স্থাপিত গ্যাস বিতরণ লাইন অপসারণ-সংযোগ বিচ্ছিন্নে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে, যা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অভিযান পরিচালনাকালে অবৈধ গ্যাসলাইন স্থাপন ও সংযোগগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেয়া ও নেয়া বাংলাদেশ গ্যাস আইন, ২০১০ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ধরনের অপরাধে জন্য বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্প্রতি তিতাস গ্যাস অধিভুক্ত এলাকায় কতিপয় অসাধু ব্যক্তি, প্রতারকচক্র তিতাস গ্যাসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিচয় দিয়ে বাসাবাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সংযোগ প্রদান করে অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। গ্যাস সংযাগ প্রদানের প্রলোভন দেখিয়ে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতারণা করছে। বর্তমানে সরকারি সিদ্ধান্তে আবাসিক ও বাণিজ্যিক শ্রেণির গ্রাহকদের গ্যাস সংযোগ প্রদান বন্ধ রয়েছে।

অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে কারিগরিভাবে অদক্ষ এসব প্রতারকচক্র খুবই নিম্নমানের পাইপ ও অন্য সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে, যা থেকে গ্যাস লিকেজ ও বিস্ফোরণের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনা ঘটে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় বিধায় এ ধরনের প্রলোভন, প্ররোচণা থেকে সর্বসাধারণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

তিতাস গ্যাস সূত্রে জানা গেছে, এ অবস্থায় গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে চায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। কিন্তু পর্যাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় কার্যক্রমটি জোরদার করতে পারছে না সংস্থাটি। এ জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে স্থায়ী ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে আবেদন পাঠিয়েছে তিতাস গ্যাস। তিতাস গ্যাসের উপমহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মইনুল আলম এমন তথ্য জানিয়েছেন।

তিতাস সংশ্লিষ্টদের মতে, নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে চাহিদামতো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট না পাওয়ায় অভিযান পরিচালনা ব্যাহত হয়। যদি স্থায়ীভাবে পর্যাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট থাকে তাহলে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হবে। এতে গ্যাস চুরি রোধ, অবৈধ গ্যাস সংযোগ রোধ করা সম্ভব হবে।

যদিও দীর্ঘদিন ধরে আবাসিকে গ্যাস সংযোগ প্রদান বন্ধ রয়েছে। কিন্তু নতুন নতুন এলাকায় সম্প্রসারিত হচ্ছে গ্যাসের পাইপলাইন। তিতাসের অসাধু স্টাফদের সঙ্গে যোগসাজশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে স্থাপিত হচ্ছে এসব পাইপলাইন। এতে একদিকে যেমন গ্যাস চুরি হচ্ছে অন্যদিকে পুরো সিস্টেম ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় অবৈধভাবে স্থাপিত গ্যাস সংযোগ অপসারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযানে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তিতাস।

এএস/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।