বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৬ হাজার ৬০০ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৪ হাজার ২৫৮ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৪ হাজার ২১৪ জন।।
এদিকে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতেই কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। সবশেষ ইতালি দেশটির ১ কোটি ১৬ লাখ মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য আদেশ দেয়া হয়। এছাড়া বিশ্বের যে কোনো জায়গাতেই করোনার উপসর্গ দেখা দিলেই তাকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
কোয়ারেন্টাইন অর্থ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পৃথক থাকা। তবে কোয়ারেন্টাইন মানে এই নয় যে, আপনাকে সম্পূর্ণ আলাদা করে দেয়া হলো। যদি কোনো ব্যক্তির করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে তাকে জনবহুল এলাকা থেকে দূরে রাখতে এবং ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে অন্তত ১৪ দিন আলাদা থাকতে বলা হয়। কেননা এ ভাইরাস ধীরে ধীরে সুস্থ কোষের সঙ্গে মেশে। আর এই সময়ের মধ্যে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে নিয়মিত সময়ে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা ও জ্বর কমাতে ওষুধ গ্রহণসহ ভালো স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন করানো হয়।
বিশ্ব যেসব দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সেসব দেশের মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। শুধু ইতালিতেই কোয়ারেন্টাইনে ১ কোটি ১৬ লাখ মানুষকে রাখা হয়েছে।
তবে কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানে আপনার ফোন নিয়ে যাওয়া হবে না। এমনকি প্রতিনিয়ত ব্যবহার্য অন্যসব জিনিসপত্রও কেড়ে নেয়া হবে না। করোনা আক্রান্ত রোগীদের ব্যবহার করা টাওয়াল, খাবারের পাত্র ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় ব্যবহৃত জিনিসগুলো দিয়েও ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর জন্যই কোয়ারেন্টাইনে উপসর্গ পাওয়া মানুষদের রাখা হয়।
এদিকে করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যে হাত না ধুয়ে নিজের চোখ, মুখ ও নাক স্পর্শ না করা। আর প্রতিদিন কয়েকবার সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধুতে হবে।
জেএইচ/পিআর