সমুদ্রসম্পদকে কাজে লাগানোর তাগিদ
সমুদ্র থেকে সম্পদ আহরণের মাধ্যমে দেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।
মঙ্গলবার কক্সবাজারের রামুতে অবস্থিত বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিওআরআই) সরেজমিন পরিদর্শন করে এই তাগিদ দেয় সংসদীয় কমিটি।
পরিদর্শন শেষে টেলিফোনে জাগো নিউজকে কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মিয়ানমারের পর ভারতের সঙ্গেও বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হয়েছে। নেদারল্যান্ডসের স্থায়ী সালিসি আদালতের রায়ে বঙ্গোপসাগরের বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকা বাংলাদেশ পেয়েছে। বাকি ছয় হাজার ১৩৫ বর্গকিলোমিটার পেয়েছে ভারত। এর আগে জার্মানির হামবুর্গ শহরে স্থাপিত সমুদ্রসীমাবিষয়ক জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল (আইটিএলওএস) ২০১২ সালের ১৪ মার্চ মিয়ানমারের কাছ থেকে এক লাখ ১১ হাজার ৬৩১ বর্গকিলোমিটার পেয়েছে বাংলাদেশ। এই বিশাল সমুদ্র এলাকায় নানা সম্পদে ভরপুর। কিন্তু এখনও এর ব্যবহার করতে পারছি না আমরা। তাই সমুদ্র সম্পদকে ব্যবহারের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
জানা গেছে, কমিটি বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট সরেজমিন পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করে এবং আন্তরিকতা ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করার সুপারিশ করে।
সভাপতি রুহুল হকের নেতৃত্বে কমিটির সদস্য মো. শফিকুল আজম খান, মো. মোজাফ্ফর হোসেন, মো. আক্তারুজ্জামান, শিরীন আহমেদ, সেলিমা আহমাদ ও হাবিবা রহমান খান পরিদর্শনে অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (বিওআরআই) মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
এইচএস/এমএসএইচ/এমকেএইচ