ঢাকা উত্তরে বসেছে ৩৩৪৩টি এলইডি বাতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৬ এএম, ০৭ মার্চ ২০২০

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নগরীর অধিকাংশ এলাকায় এলইডি বাতি স্থাপন করা হলেও পিছিয়ে আছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ৪৪২ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে পাঁচ হাজার সিসি ক্যামেরা ও ৩৯ হাজার ৬০০ এলইডি বাতি লাগানোর কথা ছিল। যা ২০১৭ সালে ডিএনসিসি এলাকার জন্য সৌন্দর্যবর্ধনের এই প্রকল্পটি একনেকে পাস হয়। পরে পাঁচ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

প্রকল্পের ৩৯ হাজার ৬০০ এলইডি বাতির মধ্যে এখন পর্যন্ত লাগানো হয়েছে ৩ হাজার ৩৪৩টি বাতি। তবে প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে। এ সময়ের মধ্যে বাকি বাতিগুলো স্থাপন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

প্রাথমিকভাবে রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকার সড়কে এলইডি বাতি বসানো হয়। এর আগে উত্তর সিটি করপোরেশনের উত্তরা এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সামনের রাস্তায় এলইডি বাতি স্থাপন করা হয়েছে। পরে পর্যায়ক্রমে প্রগতি সরণির আবুল হোটেল থেকে শুরু হয়ে যমুনা ফিউচার পার্ক পর্যন্ত এলাকা, সার্ক ফোয়ারার সামনে থেকে জাহাঙ্গীর গেট, মহাখালী হয়ে স্টাফ কোয়ার্টার পর্যন্ত এলইডি বাতি স্থাপন করা হয়।

LED-(2).jpg

ডিএনসিসি সূত্র জানিয়েছে, বিজয় সরণি, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, নতুন বাজার থেকে শুরু করে কাকলী পর্যন্ত এবং পর্যায়ক্রমে সবগুলো সড়কে বসানো হবে এসব এলইডি বাতি। পুরো শহরের এলইডি বাতি লাগানোর কাজ শেষে ডিএনসিসি কন্ট্রোল রুম থেকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা থাকবে।

প্রকল্পটির পরিচালক এবং ডিএনসিসি প্রকৌশল বিভাগের (বিদ্যুৎ সার্কেল) প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম এর আগে জানিয়েছিলেন, নতুন এলইডি বাতির পরিচালনা ব্যবস্থা হবে সময়নির্ভর (টাইম বেসড)। সময় হলেই বাতি জ্বলবে এবং নিভবে। আর এসবই নিয়ন্ত্রণ করা হবে মুঠোফোনের সিমের মাধ্যমে। এতে বিদ্যুৎ খরচও কমে আসবে।

ডিএনসিসির এলইডি বাতির প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রথম মেয়াদে ৩ হাজার ৩৪৩টি বাতি লাগানো হয়েছে। কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পটির মেয়াদে বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে।

এএস/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।