অগ্নিদগ্ধ রুমা মারা গেছেন
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে টানা ২২ ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা গেছেন গৃহবধূ রুমা আক্তার (৩০)। অগ্নিদগ্ধ রুমার শরীরের ৮০ ভাগই পুড়ে গেছে।
রুমার পরিবারের অভিযোগ- নিহতের স্বামী আবু তাহের বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাটারা থানাধীন বারিধারা এফ ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ১৯৮ বাসায় ডেকে নিয়ে কেরোসিন ঢেলে রুমার শরীরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে পানি দিয়ে আগুন নেভায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে প্রথমে অ্যাপোলো হাসপাতাল ও পরে ঢামেক বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মারা যান রুমা।
রুমার বোন ফাতেমা জানান, পাঁচ বছর আগে প্রথম বিয়ের কথা গোপন করে রুমাকে বিয়ে করে আবু তাহের। রুমা দক্ষিণ বাড্ডা এলাকায় থাকতেন। সম্প্রতি আবু তাহেরের প্রথম স্ত্রী দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানতে পারেন। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত স্বামীর সাথে রুমার মনোমালিন্য চলছিল।
ফাতেমা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে আবু তাহের রুমাকে বারিধারার বাসায় ডেকে পাঠায়। বাসার নীচতলায় পৌঁছলে রুমার শরীরে দ্রুত কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে সরে পড়ে আবু তাহের। পুলিশ এখন আবু তাহেরকে খুঁজছে।
ফাতেমা আরো অভিযোগ করেন, রুমাকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসলেও জরুরি বিভাগ থেকে রুমার ড্রেসিংসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য সিল্ক ক্রিম, হার্টসল ইনট্রাভেনাস (আইভি) স্যালাইন, বেবি স্যালাইন ও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ও ইনজেকশন জোটেনি।
চিকিৎসকরা তাদের দিয়ে সব ওষুধপত্র বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনিয়ে এনেছেন। বোনের চিকিৎসাবাবদ ঢামেক হাসপাতালে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হাজার দশেক টাকা খরচ হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি। তিনি জানান, উদ্ধারের পর থেকে অ্যাপোলো ও ঢামেক হাসপাতালে তাদের ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে।
এমইউ/এসএইচএস