আবারও পাটের সুদিন ফিরেছে : পাটমন্ত্রী
পাট হারিয়ে গেছে, এ ধারণা থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে এসেছে মন্তব্য করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, সবাই ভেবেছিল পাটের সুদিন শেষ কিন্তু পাট হারিয়ে যায়নি, আবারও পাটের সুদিন ফিরেছে। যার বড় প্রমাণ চলতি অর্থবছরে পাটখাতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন।
শুক্রবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে পাট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, প্রতিবছর ৬ মার্চকে জাতীয় পাট দিবস ঘোষণা দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনেক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানায়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে পাট পণ্যের বিস্তার ঘটেছে। অনেকে আগে বলতো পাট মরে গেছে কিন্তু এখন থেকে মনে করতে হবে পাট জেগে উঠেছে। কারণ চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্যে ৬১৬ দশমিক ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের রফতানি আয় করেছি আমরা। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ দশমিক ৮২ শতাংশ বেশি।
তিনি আরও বলেন, প্লাস্টিকের অতি ব্যবহারের ফলে পরিবেশের ক্ষতি বেড়েছে। পাটের তৈরি বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন করছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে ২৮২টি বহুমুখী পণ্য উৎপাদন করছি। যা অনেকেই জানেন না। তাদের কাছে অনুরোধ আপনারা পাট মেলায় যাবেন এবং পাট সম্পর্কে জানবেন। সেখানে গেলে কোনো না কোনো পণ্য আপনাদের পছন্দ হবেই। এ বিশ্বাস আমাদের আছে।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, একটা সময় আমরা পাট দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতাম কিন্তু আমরা সে অবস্থান ধরে রাখতে পারিনি। এখন আমরা আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আমাদের পাটের সোনালী আঁশের স্বপ্ন শুরু হয়েছে। এটি আমরা নিশ্চিত করব। আর বেশি দিন নেই যেখানে বিশ্ব বাজারে পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের অনেকের ধারণা ছিল পাট দিয়ে বস্তা-ছালা এসব হয় কিন্তু এখন ধারণা পাল্টেছে। এখন পাট দিয়ে বিভিন্ন রকমের গিফট আইটেম তৈরি হয়। আমাদের দেশে যখন বিদেশি কোন কূটনীতিক আসেন তখন আমরা তাদের পাটের তৈরি বিভিন্ন গিফট আইটেম দিয়ে থাকি। তারা সেগুলো সে দেশে নিয়ে যায় এবং বিশ্বময় এগুলো তুলে ধরেন। এটাও আমাদের একটা অর্জন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম, পাট অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) সওদাগর মুস্তাফিজুর রহমানসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর/সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
অনুষ্ঠানের শেষে পাঁচ দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্যের মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। এর আগে বস্ত্র ও পাট খাতে বিশেষ অবদানের জন্য ১১টি ক্যাটাগরিতে ১১ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
এফএইচএস/জেএইচ/জেআইএম