রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি শাহ আলম, সম্পাদক দীপন


প্রকাশিত: ০৩:২৯ পিএম, ০৮ অক্টোবর ২০১৫

ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটি পুনর্গঠিত হয়েছে। সম্মেলনে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম সভাপতি, দীপন তালুকদার সাধারণ সম্পাদক ও অ্যাড. সাইফুল ইসলাম পনির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

এ তিনটি শীর্ষ পদে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৬৭ ভোটারের মধ্যে সভাপতি পদে মো. শাহ আলম পেয়েছেন ১০৬ ভোট, সাবেক সভাপতি অ্যাড. দীপেন দেওয়ান ৩০ ভোট, সাধারণ সম্পাদক পদে দীপন তালুকদার ৮১ ভোট, মামুনুর রশিদ মামুন ৫৫ ভোট এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অ্যাড.সাইফুল ইসলাম পনির ১৩০ ভোট ও সেলিম উদ্দিন বাহারি ছয় ভোট।

ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে সন্ধ্যার দিকে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা এ ফল ঘোষণা করেন। নব-নির্বাচিত নেতাদের সমন্বয়ে বাকি পদগুলো পূরণ করে পরবর্তীতে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি পুনর্গঠনের নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

এদিকে, কারচুপির অভিযোগে ভোটগ্রহণ শুরুর আগে নির্বাচন বর্জন করেন বিদায়ী সভাপতি অ্যাড. দীপেন দেওয়ান। একই সঙ্গে সরকারি দলের সঙ্গে যোগসাজশ ও ঠিকাদারিসহ নানা সুবিধা ফায়দা লোটার অভিযোগে নব-নির্বাচিত সভাপতি মো. শাহ আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণাসহ তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন দীপেন।

নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে দীপেন দেওয়ান বলেন, নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি ও প্রভাব বিস্তারসহ ব্যাপক কারচুপির কারণে আমি অংশ নেয়নি। শাহ আলম আগের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতার ইন্ধনে দলীয় স্বার্থ পরিপন্থী ও দলকে ধংস করার করার ষড়যন্ত্রে জড়িত। অবিলম্বে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা না হলে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হব।

এ বিষয়ে নব-নির্বাচিত সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, নির্বাচন ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে সুষ্ঠু হয়েছে। কে নির্বাচন বর্জন করল আর না করল তাতে কিছুই যায় আসে না। আমি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে ছিলাম, আছি, থাকব।

সুশীল প্রসাদ চাকমা/এআরএ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।