ই-গেট কারা ব্যবহার করবেন, কারা পারবেন না
বাংলাদেশের ই-পাসপোর্টধারীদের স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল বা ই-গেট ব্যবস্থা স্থাপনের বিধিনিষেধ নিয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এতে কারা ই-গেট ব্যবহার করতে পারবেন এবং কারা পারবেন না-এ বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ (বহির্গমন শাখা-১) এই পরিপত্রটি জারি করে।
মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুনিম হাসান স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি পাসপোর্টের আধুনিকায়ন করে বিদেশ ভ্রমণ ও ইমিগ্রেশন সহজ করার জন্য ই- পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি-ইগেট প্রবর্তন করা হয়েছে। এর ফলে ইমিগ্রেশন পয়েন্টে যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা যাবে।
ই-গেট ব্যবহারবিধি
পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশি ই-পাসপোর্টধারী কূটনৈতিক, অফিসিয়াল ই-পাসপোর্টধারী সরকারি কর্মকর্তা, বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা (সিআইপি), সেরা করদাতা কার্ডপ্রাপ্ত ই-পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা, ই-পাসপোর্টধারী পাইলট ও ক্রুরা।
এতে বলা হয়েছে, এয়ারলাইন্স কর্তৃক যাত্রীর ব্যাগেজ সংগ্রহ, টিকিট যাচাই-বাছাই এবং পাসপোর্টের চেকিং সম্পন্নের পর ই-গেট ব্যবহার করতে পারবেন।
বাংলাদেশি ব্যতীত অন্য কোনো দেশের যাত্রীরা প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশে ই-গেট ব্যবহার করতে পারবেন না বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদুল আহসান জাগো নিউজকে বলেন, শাহজালালে ইতোমধ্যে ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিদিনই পরীক্ষামূলকভাবে এটি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। অচিরেই আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম শুরু হবে।
বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘ইতোমধ্যে ই-গেটগুলো ইমিগ্রেশন পুলিশকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। পরবর্তী কার্যক্রম তারাই পরিচালনা করবে।’
আরও পড়ুন :
ই-পাসপোর্টে ৩০ সেকেন্ডেই খুলে যাবে ই-গেট
৫০টি ই-গেট স্থাপন করা হবে
ই-পাসপোর্ট ও ই-গেট সংযোজিত হলে ইমিগ্রেশন সেবা সহজ হবে
এআর/জেএইচ/এমকেএইচ