ভালো ও মন্দ নিয়্যাতের প্রতিদান
আল্লাহ তাআলা বান্দাকে তার ইবাদতের জন্য পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। বান্দাকে দিয়েছেন সব কর্মে ইচ্ছার স্বাধীনতা। সুতরাং কর্ম সম্পাদনে নিয়্যাতের গুরুত্ব অত্যাধিক। ভালো ও মন্দ নিয়্যাতের ফলাফল কেমন হবে তা জাগো নিউজে তুলে ধরা হলো-
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- “নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তোমাদের চেহারা ও সম্পদের দিকে তাকান না, বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও কর্মের দিকে লক্ষ্য করেন।” (মুসলিম) আর অন্তরের দিকে লক্ষ্য করা মানে নিয়্যাতের দিকে লক্ষ্য করা; কেননা, নিয়্যাত হলো কাজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। অপর এক হাদিসে তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি ভালোকাজের পরিকল্পনা করল, কিন্তু বাস্তবে সে কাজ করতে পারল না, সে ব্যক্তির জন্য সাওয়াব লেখা হবে।” (মুসলিম) সুতরাং শুধু ভালোকাজের পরিকল্পনা করার দ্বারাই কাজটি ভালোকাজ হিসেবে গণ্য হয়ে যায়, প্রতিদান সাব্যস্ত হয়, সাওয়াব অর্জন হয়; আর এটা শুধু ভালো নিয়্যাতের করণেই সম্ভব হয়।
নিয়্যাতের ভালো-মন্দের ফলাফল নমুনা
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-
“এ উম্মতের দৃষ্টান্ত চার ব্যক্তির দৃষ্টান্তের মতো- ১. আল্লাহ তাআলা এক ব্যক্তিকে সম্পদ ও ‘ইলম (জ্ঞান) দান করেছেন, অতঃপর সে তার জ্ঞান দ্বারা আমল করেন, তার সম্পদকে হক পথে খরচ করেন; ২. আরেক ব্যক্তিকে আল্লাহ ‘ইলম দান করেছেন, কিন্তু তাকে সম্পদ দেননি, অতঃপর সে বলে, আমার যদি এ ব্যক্তির মতো সম্পদ থাকত, তাহলে আমি ঐ ব্যক্তির মতই কাজ করতাম; রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- সাওয়াবের ক্ষেত্রে তারা উভয়ে সমান। ৩. আরেক ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা সম্পদ দান করেছেন, কিন্তু তাকে ‘ইলম দেননি, অতঃপর সে তার সম্পদকে এলোমেলোভাবে কাজ করে তা অন্যায় পথে খরচ করে; ৪. অপর আরেক ব্যক্তি হলো আল্লাহ তাকে সম্পদ ও ‘ইলম কোনটিই দান করেননি, অতঃপর সে বলে, আমার যদি এ ব্যক্তির মতো সম্পদ থাকত, তাহলে আমিও ঐ ব্যক্তির মতোই কাজ করতাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- গুনাহের ক্ষেত্রে তারা উভয়ে সমান।” (ইবনে মাজাহ)
পরিশেষে...
যেহেতু ভালো নিয়্যাতকারী ব্যক্তিকে ভালো কাজের সাওয়াব দেওয়া হয়; আর মন্দ নিয়্যাতকারী ব্যক্তিকে মন্দ কাজের প্রতিদান দেয়া হয়। সুতরাং আল্লাহর তাআলা যেন মুসলিম উম্মাহকে সব সময় উত্তম কাজ এবং উত্তম নিয়্যাতের ওপর থাকার তাওফিক দান করেন। আমিন।
জাগো ইসলামে লেখা পাঠাতে ই-মেইল : [email protected]
জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।
এমএমএস/আরআইপি