অভিযোগের ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানতে চেয়েছেন তাবিথ
১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে করা অভিযোগের ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন তিনি।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন আবেদন, নিবেদন, পরামর্শ, অভিযোগ, তথ্য সরবরাহ ইত্যাদির সুনির্দিষ্ট লিখিত জবাব ও প্রতীকার আজও পাইনি।’
৩ পৃষ্ঠার ওই চিঠিতে কবে কী ধরনের অভিযোগ দিয়েছেন তাও তুলে ধরেন তাবিথ আউয়াল। এগুলো হলো- ‘মেয়র প্রার্থীর নিরাপত্তা প্রদান, ২০২০ নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে আমার নির্বাচনী প্রচারণারত মাইক্রোফোন ভাংচুর, আচরণ বিধিমালার বিধান লংঘনের অভিযোগ, পূর্বনির্ধারিত পথসভা ও গণসংযোগে অতর্কিত হামলা, থানায় পূর্ব অবহিতকরণের পরও গণসংযোগকালে মেয়র প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলায় নিষ্ক্রিয়তা ও অসহযোগিতার অভিযোগে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার ও সাময়িক অব্যাহতি প্রদান, ৯নং ওয়ার্ডের ঠেলাগাগি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন, ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ, ভোটকেন্দ্র দখল ও নিয়ন্ত্রণে রাখার আহ্বানের প্রতিকার, মেয়র প্রার্থী ও নির্বাচনী এজেন্টদের নিরাপত্তা প্রদান, ভোটগ্রহণে অবৈধ প্রভাব বিস্তার এবং বিলম্বে বেসরকারি ফলাফল প্রকাশসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে সরকারি গেজেট প্রকাশনা স্থগিতের আবেদন, ইভিএম ব্যবহার-সংক্রান্ত লগ সংরক্ষণ বিষয়ক তথ্য সরবরাহ, বিধান বহির্ভূতভাবে প্রকাশিত ফলাফলের গেজেট স্থগিতের আবেদন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ-সংক্রান্ত অভিযোগ ও পূর্ণাঙ্গ তালিকা সরবরাহ, ভোট কক্ষভিত্তিক ফলাফল বিবরণী, ভোটকেন্দ্রের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সরবরাহ, নির্বাচনে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ ইত্যাদি।’
তিনি লেখেন, ‘নির্বাচন-পূর্ব সময় অর্থাৎ নির্বাচনী তফসিল ষোষণার তারিখ থেকে ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত সময়কালে আমি নির্বাচনী বিধি-বিধান পরিপালন করে নির্বাচন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছি। এ সময়কালে আমার প্রতি নির্বাচন কাজে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারী, রিটার্নিং অফিসার সর্বোপরি নির্বাচন কমিশনের অসহযোগিতামূলক আচরণ আমাকে যারপর নাই ব্যথিত ও স্তম্ভিত করেছে। নির্বাচন-পূর্ব সময়ে ও নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বহু লিখিত আবেদন, নিবেদন, পরামর্শ, অভিযোগ, তথ্য সরবরাহ ইত্যাদি রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন কমিশন এবং সংশ্লিষ্টদের বরাবরে প্রেরণ করেছি। কিন্তু আজও জানতে পারিনি এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশের একটি বৃহৎ দলের মেয়রপ্রার্থী হিসেবে আমার প্রতি এ ধরনের বিমাতাসুলভ আচরণ বর্তমান নির্বাচন কমিশনের চরম অন্যায় ও অবিচার বলে মনে করি। অধিকন্তু আইনানুগ নির্বাচনী প্রচারণাকালে আমার ও আমাদের দলীয় কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর এবং কর্মী-সমর্থকদের ওপর ন্যক্কারজনক জঘন্যতম সশস্ত্র হামলার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় কোনো এজাহার মামলা না নেয়া এবং হামলার সময় নিষ্ক্রিয়তা ও সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আবার সেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকতাকেই তদন্তের দায়িত্ব দিয়ে দেশের প্রচলিত বিধি বিধানকে হেয়প্রতিপন্ন করেছে। অথচ ওই দিনের ঘটনার সচিত্র প্রতিবেদন দেশের সব প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচারিত হয়েছে।’
এইচএস/এএইচ/এমকেএইচ