জাটকা না ধরা পৌনে ৩ লাখ জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল
ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ২০ জেলার দুই লাখ ৮০ হাজার ৯৬৩টি জেলে পরিবারকে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ৪০ কেজি করে ভিজিএফ চাল দেবে সরকার। চলতি ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসে এই চাল সহায়তা পাবেন জেলেরা।
গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এই বরাদ্দ অনুমোদন দিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
প্রতিবছর ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ৮ মাস জাটকা (১০ ইঞ্চির চেয়ে ছোট ইলিশ) ধরা, পরিবহন এবং বিক্রি নিষিদ্ধ থাকে। এ মৌসুমেও একইভাবে গত নভেম্বর থেকে চলছে নিষেধাজ্ঞা, তা থাকবে ৩০ জুন পর্যন্ত।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ২০টি জেলার ৯৬টি উপজেলায় জেলেদের এ সহায়তার জন্য ২২ হাজার ৪৭৭ টন চাল প্রয়োজন হবে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে জাটকা আহরণে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ভিজিএফের এই চাল বিতরণ করা হবে।
জাটকা আহরণে বিরত থাকার সময় ঢাকায় ৮৫০, মানিকগঞ্জে ২ হাজার ৩৩৬, রাজবাড়ীতে ১ হাজার ৬৭০, শরীয়তপুরে ১২ হাজার ৯, মাদারীপুরে ২ হাজার ২৫০, ফরিদপুরে ৭০০, মুন্সিগঞ্জে ২ হাজার ৩৩৫, ভোলায় ৭০ হাজার ৯৪৩, পটুয়াখালীতে ৩৮ হাজার ৪৮৬, বরিশালে ৩১ হাজার ৭১৫ জন জেলেকে চাল দেয়া হচ্ছে।
পিরোজপুরে ৯ হাজার ৭৫০, বরগুনায় ১৯ হাজার ৯০০, ঝালকাঠিতে এক হাজার ৫৫০, চাঁদপুরে ৩৮ হাজার ৫, লক্ষ্মীপুরে ২৪ হাজার ৩৪৪, ফেনীতে ১২০, নোয়াখালীতে ৫ হাজার ৫০০, চট্টগ্রামে ৮ হাজার ৫০০, বাগেরহাটে ৭ হাজার ৫০০ ও সিরাগঞ্জের ২ হাজার ৫০০ জন জেলেও পাবেন ৪০ কেজি করে চাল।
অফিস আদেশে আরও বলা হয়, জেলা প্রশাসক ভিজিএফ চাল জাটকা আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধনকৃত মৎসজীবীদের মধ্যে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নির্দেশিকা অনুসরণ করে যথানিয়মে বিতরণ করবেন এবং নিরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় হিসাব সংরক্ষণ করবেন। চাল আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে বণ্টন সম্পন্ন হবে।
জেলা প্রশাসক ভিজিএফ চাল বরাদ্দের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্যকে অবহিত করবেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরএমএম/এইচএ/এমকেএইচ