১৪ অক্টোবরের মধ্যে কামরুলকে ফেরত আনা হবে
আগামী ১৩ বা ১৪ অক্টোবরের মধ্যে সিলেটে শিশু রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক নজরুল ইসলাম। বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বন্দি বিনিময় চুক্তি না থাকলেও দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি। খবর-বিবিসি`র।
এদিকে কামরুল ইসলামকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ১২ অক্টোবর (সোমবার) সৌদি আরব যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশের তিন কর্মকর্তা। গত বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) নজরুল ইসলাম সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। একইসঙ্গে এ বিষয়ে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের অনুরোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বাংলাদেশ পুলিশের তিন কর্মকর্তা হলেন- পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহাবুবুল করিম, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ্ এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এ এফ এফ নেজাম উদ্দিন।
পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি দল সৌদি আরবে যাবে। তারা ১৩ বা ১৪ তারিখের মধ্যে কামরুল ইসলামকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে।
নজরুল ইসলাম জানান, বন্দি বিনিময় চুক্তি না থাকায় উভয় সরকারের মধ্যে যোগাযোগ এবং আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি মেনে আনতে হচ্ছে, সেটা একটা লম্বা প্রক্রিয়া তাই এই দেরি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ খুঁটিতে বেঁধে শিশু সামিউল আলম রাজন (১৩)কে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
রাজন হত্যার পরদিনই কামরুল সৌদি আরবে পালিয়ে যান। পরে সেখানে তিনি ধরা পড়েন। বর্তমানে সেখানে তিনি পুলিশ হেফাজতে আছেন। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গত ২২ শে সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালত।
# কামরুলকে ফেরত আনতে সোমবার সৌদি যাচ্ছে পুলিশ
আরএস/পিআর