‘ওয়ান ইলেভেন’র কুশীলবরা এখনো সক্রিয় : হাছান মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০৬ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

‘ওয়ান ইলেভেন’র কুশীলবরা এবং বিএনপি-জামায়াত চক্র এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রাষ্ট্রকে বিরাজনীতিকরণের অপচেষ্টার অংশ হিসেবে সেদিন এক-এগারো সৃষ্টি করা হয়েছিল। সেই অপচেষ্টায় যারা যুক্ত ছিল, তারা এখনো সক্রিয়। আজকেও সুক্ষ্ণভাবে সেই অপচেষ্টা আছে।’

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘আমার দেখা ওয়ান ইলেভেন’ নামক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বইটি লিখেছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে এটি প্রমাণিত যে, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশল, নেতৃত্বের গুণাবলি, সাহস ও দূরদৃষ্টির কাছে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ প্রচণ্ডভাবে পরাজিত। বিএনপি এবং তার দোসররা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। সে কারণেই তারা ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে। রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে তারা ‘ওয়ান ইলেভেনে’র কুশীলবদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’ এ সময় ‘ওয়ান-ইলেভেন’ সংঘটনের কারণ চিহ্নিত করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

তিনি বলেন, ‘প্রধানত: দুটি কারণে ওয়ান ইলেভেন হয়েছিল। একটি হচ্ছে- বিএনপির লাগামহীন দুর্নীতি, সরকার পরিচালনায় প্রচণ্ড অব্যবস্থাপনা, হাওয়া ভবন তৈরি করে সমান্তরাল সরকার ব্যবস্থাপনা তৈরি করা। আরেকটি হচ্ছে- দেশে জঙ্গিবাদের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা। এ সমস্ত কারণে দেশে যে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তারা তৈরি করেছিল, সেটিরই সুযোগ গ্রহণ করেছিল যারা বিরাজনীতিকরণ করতে চায়।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি পক্ষ আছে যারা মনে করে, যারা রাজনীতি করে, তারা লেখাপড়া কম জানে, অনেকেই দুর্নীতিগ্রস্ত। এমন মনোভাব যাদের মধ্যে আছে, তাদের সবসময় একটি চেষ্টা থাকে বিরাজনীতিকরণের জন্য। এটি পাকিস্তান আমলেও ছিল, পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান মার্শাল ল’ জারি করেছিল। কিন্তু তা কোনোভাবেই গণতন্ত্রের সঙ্গে যায় না।’

তিনি বলেন, ‘এক-এগারোর পট পরিবর্তনের পর শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং তার মুক্তির মাধ্যমে শুধু শেখ হাসিনার মুক্তি নয়, গণতন্ত্রেরও মুক্তি লাভ হয়েছিল। তার (শেখ হাসিনার) হাত ধরে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং দেশ আজ মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। শেখ হাসিনা এখন শুধু আওয়ামী লীগের সভাপতি নন, শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন, শেখ হাসিনা এখন পৃথিবীর অনুকরণীয় প্রধানমন্ত্রী, পৃথিবীর অনুকরণীয় রাষ্ট্রনায়ক।’

‘আমার দেখা ওয়ান ইলেভেন’ শিরোনামে বইটির জন্য লেখককে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের ঘটনা প্রবাহ নিয়ে এই প্রথম পুস্তক, এই জন্য তাকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ, কী ঘটেছিল সে বিষয়গুলো মানুষকে জানানোর জন্য এ ধরনের একটি বই প্রচণ্ড প্রয়োজন ছিল, যেটির প্রয়োজনীয়তা কিছুটা হলেও লাঘব করেছে বা করবে এই বইটি।’ এই বই প্রকাশের মধ্য দিয়ে অনেক অজানা ইতিহাস উঠে এসেছে বলেও উল্লেখ করেছেন ড. হাছান মাহমুদ।

সাংবাদিক লেখক সৈয়দ বোরহান কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বইয়ের লেখক অধ্যাপক ডা. মোদাচ্ছের আলী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, কলামিস্ট সুভাষ সিংহ রায়, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ, কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্টের জাতীয় সমন্বয়ক ডা. শাহানা পারভীন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শাবান মাহমুদ।

এইউএ/এফআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।