পার্বত্য চুক্তির ৪৮টি ধারা সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০৫ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং বলেছেন, পার্বত্য চুক্তির সর্বমোট ৭২টি ধারা রয়েছে। চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ইতোমধ্যে ৪৮টি ধারা সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত, ১৫টি ধারা আংশিক বাস্তবায়িত এবং ৯টি ধারার বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে সৈয়দা রুবিনা আক্তারে (মহিলা আসন-২৮) প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় মন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিরাজমান পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে সরকারের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে কয়েক দফা সংলাপের পর সরকার কর্তৃক গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটির সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই চুক্তির কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বাস্তবায়ন কার্যক্রম বেগবান করার লক্ষ্যে সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহকে (মন্ত্রীর পদমর্যাদা) আহ্বায়ক করে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি তিন সদস্য বিশিষ্ট চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর কমিটির ৪র্থ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় চুক্তি বাস্তবায়নে সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পর উল্লেখযোগ্য অর্জনসমূহ হলো- এ চুক্তির ফলশ্রুতি স্বরূপ ১৫ জুলাই ১৯৯৮ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সৃষ্টি হয়েছে। চুক্তির খ খণ্ডের ধারা ৩৪ অনুসারে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় ৩০টি করে এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ২৮টি বিভাগ জেলা পরিষদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে, অবশিষ্ট বিষয়/বিভাগগুলো হস্তান্তরের লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এ সময় তিনি চুক্তি বাস্তবায়নের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

এইচএস/আরএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।