করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হলে চিকিৎসা হবে যে চার হাসপাতালে
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৪:২২ পিএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০
দেশে নভেল করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) ল্যাবরেটরিতে অর্ধশতাধিক চীন ফেরত যাত্রীর লালার নমুনা পরীক্ষা করা হলেও এখনও পর্যন্ত নতুন ধরনের এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি।
রোগী শনাক্ত না হলেও আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজধানীসহ সারাদেশের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিন্তু রোগী শনাক্ত হলে কি উল্লেখিত সব হাসপাতালে একযোগে রোগী ভর্তি রেখে চিকিৎসা প্রদান শুরু করা হবে?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সব হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হলেও রোগী শনাক্ত হলে প্রথমত রাজধানীর চারটি হাসপাতালে রোগী ভর্তি করা হবে। হাসপাতালগুলো হলো- সরকারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, উত্তরার কুয়েতমৈত্রী হাসপাতাল ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকা। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি হলে অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি রেখে সেবা দেয়া হবে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে আগাম বেশকিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গত ২১ জানুয়ারি থেকে আজ ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই চীনসহ বিভিন্ন দেশের ১৯ সহস্রাধিক যাত্রীর স্ক্রিনিং করা হয়েছে।
মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় প্রথমে শুধু চীনফেরত যাত্রীদের থার্মাল স্ক্যানার ও হ্যান্ডহেল্ড ইনফ্রারেড থার্মোমিটারে যাত্রীদের (জ্বরমাপা) স্ক্রিনিং করা হলেও বর্তমানে দেশের সব আকাশ, নৌ, স্থল ও সমুদ্রবন্দর দিয়ে প্রবেশকারী যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু হয়েছে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে ৩১২ জন বাংলাদেশিকে চীনের উহান থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে বর্তমানে ১১ জন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ও অবশিষ্ট ৩০১ জন রাজধানীর আশকোনা হাজি ক্যাম্পে কোয়ারান্টাইনে। কয়েকজনের নমুনা পরীক্ষা করা হলেও তাদের কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। এ ছাড়া চীনফেরত চীনা নাগরিকদের কাছ থেকে বাড়িতে ১৪ দিন আত্মবন্দি রাখার অঙ্গীকারনামা রাখা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে গৃহীত ব্যবস্থা সন্তোষজনক। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে বলেও দাবি করেন তিনি।
এমইউ/এনএফ/এমকেএইচ