চীনফেরত যাত্রীদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১০:০৬ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে চীনের উহান থেকে ফেরা সকল যাত্রীদের শারীরিক অবস্থা এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল রয়েছে। বিশেষ ফ্লাইটে ফেরা ৩১২ জন যাত্রীর মধ্যে বর্তমানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসোলেশন ইউনিটে ১১ জন ও অবশিষ্ট ৩০১ জন রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনা হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে রয়েছেন।

সর্বশেষ গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে তিন বছরের একটি শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার বাবা-মাসহ তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করা হলেও করোনাভাইরাস কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কুর্মিটোলা হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি একজন উহান ফেরত যাত্রীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় পুনরায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে আশকোনা হাজী ক্যাম্পে ফিরিয়ে নেয়া হয়।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা এ সব তথ্য জানান।

তিনি জানান, উহান ফেরত যাত্রীদের নিয়ে ফিরে আসা বিমানের পাইলট ও কেবিন ক্রুদেরও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পরবর্তী ১৪ দিন তাদেরকে নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

যারা সুস্থ আছেন তাদের মাস্ক পরা দরকার নেই। যারা সর্দি-কাশিতে ভুগছেন শুধু তারাই ঘরের বাইরে বের হলে মাস্ক পরবেন। তবে ঘরে ফেরার আগে ব্যবহৃত মাস্কটি মুখ ঢাকা বিনে ফেলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে, যেন কেউ কুড়িয়ে আবার তুলে নিতে না পারে।

কোয়ারেন্টাইনকৃত যাত্রীদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও অভিভাবকদেরকে উদ্বিগ্ন না হতে অনুরোধ জানিয়ে আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, 'অভিভাবকদের কেউ কেউ আশকোনা কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রের প্রধান ফটকে অবস্থান করছেন। আইইডিসিআরে অভিভাবকদের নিয়মিতভাবে প্রতিদিন বিকেল ৩টায় যাত্রীদের স্বাস্থ্যগত তথ্য অবহিত করা হবে।'

উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি চীনের উহান প্রদেশ থেকে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ৩১২ বাংলাদেশি। এছাড়া বিভিন্ন ফ্লাইটে চীন থেকে ৮ হাজারের মতো চীনা ও বাংলাদেশি নাগরিক দেশে এসেছেন।

এদিকে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে চীনের নাগরিকদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেয়া সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের উহানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়। এরপর থেকে চীনে মহামারি আকার ধারণ করে এই ভাইরাস। এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।

এমইউ/এফআর/পিআর

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।