চট্টগ্রামে জোড়া খুনের ঘটনায় জেএমবি জড়িত


প্রকাশিত: ০১:০৭ পিএম, ০৬ অক্টোবর ২০১৫

বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বাংলাবাজার এলাকায় ল্যাংটা ফকির ও তার খাদেম খুনের ঘটনায় জেএমবি জড়িত ছিল। সোমবার গ্রেনেডসহ গ্রেফতারকৃত জেএমবি সদস্য বাবু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানায়।

মঙ্গলবার বিকেলে সিএমপি (চট্টগ্রাম মেট্রাপলিটন) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বাবু নিজেও জড়িত ছিল বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

গ্রেফতার বাবুর বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাজার সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম ইসলাম বিরোধী এবং এসকল ইসলাম ও শরিয়ত বিরোধীদের খুন করলে জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায় এ বিশ্বাস ধারণ করে বাবু ফকিরের মাজারে একা প্রবেশ করে প্রথমে ঘুমন্ত ফকিরকে ও পরে তার খাদেমকে খুন করে এবং গ্রেনেড বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যায়।

বাবু স্বীকারোক্তিতে আরো জানায়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর সদরঘাট থানাধীন শাহ কর্পোরেশনের টাকা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে জেএমবি। ছিনতাই কাজে মোট ৮ জন সদস্য অংশ নেয়। এর মধ্যে ৪ জন দুইটি মটরসাইকেলে অপারেশন টিম হিসেবে এবং অপর ৪ জন রেসকিউ টিম হিসেবে কাজ করে।

শাহ কর্পোরেশনের ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা ছিনতাইকালে তারা গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায়। গ্রেনেডের আঘাতে জেএমবি’র সদস্য রবিউল ও রফিক ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরণ করে এবং শাহ কর্পোরেশনের ম্যানেজার সত্য গোপাল পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এপর এইসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে গ্র্রেফতার করে সিএমপি। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব ব্যক্তি জানায় তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির সদস্য।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে জাবেদ চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিস্ফোরক বিভাগের প্রধান। ফুয়াদ চট্টগ্রাম অঞ্চলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড।

এদিকে, সোমবার রাতে নগরীর কর্ণফূলী থানাধীন খোয়াজনগর এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ হাত গ্রেনেড ও গোলাবারুদসহ জেএমবির ৫ সদস্যকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর-দক্ষিণ) বাবুল আক্তার বলেন, গ্রেফতারকৃত জেএমবির সামরিক কমান্ডার জাবেদকে নিয়ে লুকিয়ে রাখা গ্রেনেড উদ্ধারে গেলে সেখানে গ্রেনেড বিস্ফোরণে আহত হয়ে সে মারা যায়।

উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে হ্যান্ড গ্রেনেড ০৮ টি,একটি.২২ বোর পিস্তল,৪টি বিভিন্ন সাইজের খালি ম্যাগাজিন,একটি অক ২২ রাইফেলের বাট,২২ বোরের ১১৫ রাউন্ড গুলি,একটি চাইনিজ কুড়াল ,১০টি স্টিলের টিপ ছোরা, ছোরা  রাখার ১০টি বিভিন্ন সাইজের কাপড়ের প্রসেস কভার,৭টি পলিথিনের প্যাকেট ভর্তি স্টিলের রিং, প্রতি প্যাকেটে ১৩৫টি করিয়া সর্বমোট ৯৪৫টি,৩টি পলিথিনের প্যাকেট ভর্তি সার্কিট বোর্ড, ৩টি পলিথিনের প্যাকেট ভর্তি ক্যাপাসিটার ফিতা, প্রতি প্যাকেটে ৩০০টি করে মোট ৯০০টি ক্যাপাসিটার, ৩টি পলিথিনের প্যাকেট ভর্তি টগল সুইচ, প্রতিটি প্যাকেটে ২৭৫টি করে সর্বমোট  মোট ৮২৫টি,৩টি পলিথিনের প্যাকেট  ভর্তি ডায়ট (রোধক), প্রতি প্যাকেটে ৩০০ টি করে  মোট ৯০০ টি,৩টি পলিথিনের প্যাকেট ভর্তি তার কাটা স্প্রিং, প্রতি প্যাকেটে ৩০০টি করে  মোট ৯০০টি,৩টি পলিথিনের প্যাকেট ভর্তি পিন, প্রতি প্যাকেটে ৩০০টি করে মোট ৯০০ টি,৮টি প্লাস্টিকের বান্ডিলে ভর্তি  আইসি, প্রতি বান্ডিলে ২৫টি করে মোট ২০০টি,৮টি বিভিন্ন সাইজের স্টিলের প্যানেল,৬৪টি স্টিলের প্যানেলের টুকরা, ৯টি পলি ব্যাগে ভর্তি স্টীলের বল বিয়ারিং, প্রতিটিতে ১৫০টি করে মোট ১৩৫০টি, ১টি পলি ব্যাগে ভর্তি লোহার পেরেক ১৫০টি, বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি তার সংযুক্ত সার্কিট ১০টি।

এসকেডি/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।