চীনাকর্মীদের ছুটি বাড়লে পদ্মা সেতুর কাজ বিঘ্নিতের আশঙ্কা
চীনের প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে পদ্মা সেতু প্রকল্পের চীনা কর্মীদের ছুটি আরও বাড়লে এই সেতুর কাজ বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার সচিবালয়ে দফতর প্রধান এবং প্রকল্প পরিচালকদের সঙ্গে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালাচনা ও নাগরিক সেবা প্রদান বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের এই আশঙ্কার কথা জানান মন্ত্রী।
চলতি অর্থবছরে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জাতীয় গড় ২৬ শতাংশ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বাস্তবায়নের হার হচ্ছে ২৮ শতাংশ। পদ্মা সেতু প্রকল্পের অগ্রগতি ওভারঅল ৭৭ শতাংশ। মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি ৮৬ শতাংশ। এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর ২৩টি স্প্যান বসেছে।’
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে চীনা নাগরিক কর্মরত রয়েছেন ৯৮০ জন। এরমধ্যে ছুটিতে আছে ৩৩২ জন। ছুটিতে থাকাদের মধ্যে ফিরে এসেছেন ৩৩ জন, এরমধ্যে আটজন কোয়ারেন্টাইন মুক্ত। অন্যরা কোয়ারেন্টাইনে আছেন।’
‘পদ্মা সেতুতে আগামী ২ মাসে যদি অচলাবস্থার (চীনের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত) অবসান হয়, তবে আমাদের কোনো অসুবিধা হবে না। আমাদের কাজ চলবে। ১০ ফেব্রুয়ারি পদ্মা সেতুর ২৪ নম্বর স্প্যান বসতে যাচ্ছে। কাজ চলতে থাকবে যদি না এর ভেতরে নববর্ষ উপলক্ষে যারা চীনে ছুটিতে গেছেন তাদের ছুটি আরও প্রলম্বিত হয়। ছুটি প্রলম্বিত না হলে আগামী ২ মাসের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতির সংকট হবে না।’
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (উড়াল সেতু) অগ্রগতি নিয়ে কাদের বলেন, ‘এখানে ফান্ড সমস্যা এখন আর নেই। প্রথম ফেজের অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ। এখানে চাইনিজ আছে ২০ জন, ছুটিতে আছে ১৮ জন এবং মোট কর্মরত ৩৮ জন। এখানে আপডেট হচ্ছে ছুটিতে থাকা চীনাদের জন্য কোনো অসুবিধা হচ্ছে না বা হবে না।’
বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পে ৭২ জন চীনার মধ্যে একজন ছুটিতে রয়েছেন। এখানে সেতু বিভাগের অংশে অগ্রগতি ২০ শতাংশ বলে জানান মন্ত্রী।
মেট্রোরেল প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৪২ শতাংশ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৬৮ শতাংশ এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে ৩৬ শতাংশ কাজ হয়েছে। এখানে চীনা নাগরিক আছেন ৫৮ জন, চীনে গেছেন ৩১ জন, ফেরত এসেছেন ১ জন। তিনি কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এখানে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
আরএমএম/জেএইচ/এমকেএইচ/এমএস