নওগাঁয় ১০টি ক্লিনিক বন্ধ ঘোষণা
লাইসেন্স, প্রয়োজনীয় চিকিৎসক-নার্স না থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগে নওগাঁর চারটি উপজেলার ১০টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বন্ধ ঘোষণা করা ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলো হলো, নওগাঁ শহরের আহসান জেনারেল ক্লিনিক, জায়েদা ক্লিনিক, জমজম ক্লিনিক, যমুনা ক্লিনিক, নিয়ামতপুর উপজেলার আড্ডা মোড়ে অবস্থিত আল আমিন ক্লিনিক, ধানসুরা মোড়ে অবস্থিত হক ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার, বদলগাছী উপজেলার জাহানারা ক্লিনিক, মান্দা উপজেলার মা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার, মহাদেবপুর উপজেলার লিমা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার ও ঘোষ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার।
এ সকল ক্লিনিক বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে জেলা সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার সিভিল সার্জন একেএম মোজাহের হোসেনের নেতৃত্বে একটি চিকিৎসক দল জেলার বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন করে বিভিন্ন অভিযোগে নওগাঁ সদরসহ পাঁচটি উপজেলার ১০টি ক্লিনিক বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টম্বর বিভিন্ন অভিযোগে জেলার দুটি উপজেলার মোট পাঁচটি ক্লিনিক বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ২৯ সেপ্টম্বর বন্ধ ঘোষণা করা ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলো হচ্ছে, পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর ইসলামিয়া ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আলফা হাসপাতাল ও কল্পনা ক্লিনিক এবং নিয়ামতপুর উপজেলার আড্ডার মোড় এলাকার সেবা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোম ও রেহানা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হেদায়েতুল ইসলাম ও সিভিল সার্জানের নেতৃত্বে একটি চিকিৎসক দল ক্লিনিকগুলো পরিদর্শন করে এ ব্যবস্থা নেন।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন একেএম মোজাহের হোসেন বলেন, বন্ধ ঘোষণা করা ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলো পরিদর্শন করে দেখা গেছে, কোনো ক্লিনিক লাইসেন্স ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছিল, কোনো ক্লিনিকে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক-নার্স নেই, কোনো কোনো ক্লিনিকে ১০টি বেডের অনুমোদন চেয়ে বেশি বেড রেখে রোগী ভর্তি করা হয়েছে। আবার কোনো কোনো ক্লিনিকে চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখা গেছে।
এক কথায় ‘প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ অর্ডিন্যান্স-১৯৮২’ অনুযায়ী ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ হওয়া ক্লিনিকগুলোর মধ্যে জায়েদা, আল-আমিন ও হক ক্লিনিক শুরু থেকেই লাইসেন্স ছাড়াই পরিচালিত হয়ে আসছিল।
তিনি আরো বলেন, বন্ধ ঘোষণা করা ক্লিনিকের পরিচালক ও মালিকরা যদি নিয়ম-নীতির আওতায় আসতে চান তবে তাদের আবার বিবেচনায় আনা যেতে পারে। এছাড়া নিয়মনীতির বাইরে কোনো ক্লিনিক পরিচালনা করতে দেয়া যাবে না।
এসএস/পিআর