চীন থেকে আরও ১৫০ জনকে ফেরানোর চেষ্টা চলছে
ভয়াবহ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চীন থেকে দেশে ফিরতে চাওয়া বাংলাদেশিদের আনতে ইতোমধ্যে রওনা হয়েছে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ একটি ফ্লাইট। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাত ২টার দিকে ৩৬১ জন বাংলাদেশিকে নিয়ে দেশে ফিরবে বিমানটি। এদের সবাই করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল উহান শহর থেকে ফিরছেন। কিন্তু তাদের বাইরেও আরও ১৫০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন যারা দেশে ফিরতে চান। তাদের জন্য ফিরিয়ে আনতেও বিকল্প চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
পাশাপাশি যেসব বাংলাদেশিদের উহান থেকে ফেরত আনা হচ্ছে আপাতত আত্মীয়-স্বজনের তাদের সঙ্গে দেখা না করার এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সকল নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানান তিনি।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এসব কথা লিখেছেন শাহরিয়ার আলম।
সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, 'ইয়াচাংয়ের ছাত্রদের সাথে আমার কথা হয়েছে, সেখানে প্রায় ১৫০ জন রয়েছে। জায়গাটা উহান থেকে দূরে কিন্তু রেডজোনের মধ্যে। তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার চেষ্টা করছি আমরা।'
বেইজিংয়ের কাছাকাছি অবস্থান করা কিছু বাংলাদেশিদের ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শাহরিয়ার আলম লিখেছেন, 'স্যান্ডং, বেইজিংয়ের কাছে হওয়াতে আমরা ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছি। অনেকে নিজেদের আয়োজনে ফেরা শুরু করেছেন। বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের সার্ভিস কমে যাওয়াতে বুকিং পেতে সময় লাগছে।'
সবাইকেই নিরাপদে রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেছেন, 'উহান থেকে যারা ফিরবেন তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে বিনীত অনুরোধ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সকল নির্দেশনা মেনে চলার জন্য এবং তাদের সাথে দেখা না করার জন্য। আমাদের মন্ত্রণালয় এবং দফতরগুলো দক্ষতার সাথে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই আয়োজনগুলো করেছেন, তাদের ওপর বাড়তি চাপ দেবেন না এবং আপনাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর মনস্তাত্ত্বিক চাপ প্রয়োগ করবেন না। সরকার প্রয়োজনীয় কয়েকদিন তাদের সার্বিক সেবা প্রদান করবে।'
সাংবাদিকদেরও কোয়ারেন্টাইন এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের নামে ভিড় না করার জন্য অনুরোধ করে শাহরিয়ার আলম লিখেছেন, 'বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা পৃথিবীব্যাপী সতর্কতা জারি করেছে। আমাদের সকলকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। আমরা নিরাপদে থাকি, সকলকে নিরাপদে থাকতে সহযোগিতা করি।'
এদিকে, আজ রাতে চীন থেকে ফেরা ৩৬১ জনকে আশকোনা হাজি ক্যাম্পে রাখা হবে।
জেপি/এফআর/পিআর