২২ মাসেও গোপীবাগের ছয় খুনের রহস্য উদঘাটিত হয়নি


প্রকাশিত: ১০:৪৩ পিএম, ০৫ অক্টোবর ২০১৫

রাজধানীর গোপীবাগে কথিত পীর লুৎফর রহমানসহ চাঞ্চল্যকর ছয় খুনের ২২ মাস অতিবাহিত হলেও উদঘাটন হয়নি এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য। শুধু উগ্রপন্থী ধর্মীয় সংগঠন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এমন সন্দেহেই রয়ে গেছে মামলার তদন্ত।

ওই ঘটনার তদন্তের এমন অবস্থার মধ্যেই আবারো একই কায়দায় খুন হলেন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (পিডিবি) সাবেক চেয়ারম্যান খিজির খান। যিনি ঢাকার রহমতিয়া খানকার পরিচালক ছিলেন। সোমবার রাত ৯টায় মধ্যবাড্ডার জ-১০/১ নং বাড়ি থেকে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে বাড্ডা থানা পুলিশ।

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল জলিল জানান, পিডিবির সাবেক পরিচালক খিজির মিয়া রহমতিয়া খানকার পরিচালনা করতেন। তিনি ঢাকা অফিসের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তার বাসার তিনতলায় খানকাহ রহমতিয়া খানকা শরিফ অবস্থিত।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর গোপীবাগে পীর লুৎফর রহমানসহ চাঞ্চল্যকর ছয় খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চার জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়েও কোনো তথ্য পায়নি মামলার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন জেএমবি সদস্য গোলাম সারওয়ার রাহাত, আজমির অমিত, সৈয়দ জিয়াউল ইসলাম জিতু ও আল আমিন। ভিন্ন ঘটনায় গত বছরের মার্চে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

তবে ডিবি পুলিশের দাবি, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন জেএমবি জড়িত। কথিত পীর লুৎফর রহমান নিজেকে পীর হিসেবে পরিচয় দিলেও তিনি ইসলামবিরোধী অনেক কথা বলতেন। উগ্রবাদী সংগঠন জেএমবি তার আদর্শকে ভালো নজরে নিতে পারেনি। মতাদর্শগত দ্বন্দ্বের জেরে হত্যা করা হয় লুৎফর রহমানকে।

২০১৩ সালের ২১ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর গোপীবাগের ৬৪/৬ নম্বর বাড়ির দোতলায় খুন হন কথিত পীর লুৎফর রহমান ফারুক, তার বড় ছেলে সারোয়ার ইসলাম ফারুক, অনুসারী মঞ্জুরুল আলম, মো. রাসেল, মো. শাহিন এবং মজিবুর সরকার।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় লুৎফর রহমানের ছোট ছেলে আবদুল্লাহ আল ফারুক অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করে ওয়ারি থানায় একটি মামলা করেন। ওয়ারি থানার পর মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্তের দায়িত্ব পায়। সর্বশেষ গত ১ অক্টোবর পর্যন্ত মামলার কোনো অগ্রগতি হয়নি।

বর্তমান তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আগের ডিবির তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. আবু আল খায়ের মাতুব্বর সন্দেহভাজন চার জঙ্গি সদস্যকে রিমান্ডে নিয়ে বিশেষ কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাননি। মামলার তদন্তের পাশাপাশি এ বিষয়ে আরো তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।

মামলার বাদী ও নিহত লুৎফরের ছোট ছেলে আবদুল্লাহ আল ফারুক জানান, বাবা-ভাইসহ ছয়জনকে হত্যার ২২ মাস পেড়িয়ে গেছে। কিন্তু পুলিশ এতদিনেও খুনিদের চিহ্নিত করতে পারেনি।

## খিজির হত্যাকাণ্ড : একই কায়দায় খুন হন ফারুকী

জেইউ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।